• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

‘নতুন ফিলিস্তিনি’ হওয়ার ঝুঁকিতে রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা: জাতিসংঘ কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ১৭:২২, ৩০ মে ২০২৩

আপডেট: ১৭:২৫, ৩০ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
‘নতুন ফিলিস্তিনি’ হওয়ার ঝুঁকিতে রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা: জাতিসংঘ কর্মকর্তা

ছবি: ফাইল ফটোজাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ার দ্য শুটার

সম্প্রতি কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করা দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ার দ্য শুটার এক বিশেষ সাক্ষাতকার দেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে। সেখানকার পরিস্থিতি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশে থাকা রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা ‘নতুন ফিলিস্তিনি’ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

শুটার বলেন, ‘কক্সবাজারে জনাকীর্ণ শিবিরে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা টেকসই নয়।’ ক্যাম্পের পরিস্থিতিকে শোচনীয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো এই মানুষগুলো সম্পূর্ণ মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কাজ করার ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারা এক প্রকার অবরুদ্ধ। তাদের দিন কাটে অলসভাবে। ফলে লিঙ্গভিত্তিক সহিসংতা বাড়ছে। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সশস্ত্র গ্যাংগুলো মিয়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রায়শই এসব গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে মধ্যে গোলাগুলি ঘটছে।’

মিয়ামারের লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরাতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু মিয়ানমার এখন জান্ত সরকারের অধীনে থাকায় প্রত্যাবাসন প্রতিক্রিয়া এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। 

জাতিসংঘের বিশেষ দূত দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকেই সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে, মনে হয় না তা পূরণ হচ্ছে।

এদিকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তহবিল ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ভাতা কমিয়ে প্রতি মাসে ৮ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির অবস্থিত বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে। এই শিবিরে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এসব রোহিঙ্গারা। এদের জন্য বিদেশি ত্রাণ সহায়তাও দিনে দিনে কমে আসছে। 

মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন। এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে এসেছিলেন। সেসময় বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: