• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সামরিক আদালতে বিচার হবে ইমরান খানের: পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৩১ মে ২০২৩

আপডেট: ২০:৩৮, ৩১ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সামরিক আদালতে বিচার হবে ইমরান খানের: পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

গত ৯ মে’র সহিংসতার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে সামরিক আদালতে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) পাক সংবাদমাধ্যম ডনকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

চলতি মাসের শুরুতে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের পরই পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গত ৯ মে সেই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়।

সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন নিহত ও ২৯০ জন আহত হন। ওইদিন সেনা সদর দফতরসহ সেনাবাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর পিটিআই নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান শুরু হয় এবং দেশজুড়ে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।

আটক হওয়া ওই সব নেতা-কর্মীকে বেসামরিক আদালতের পরিবর্তে সামরিক আদালতে বিচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে। 

এবার ইমরান খানকেও বিতর্কিত সেনা আইনে বিচার করার ঘোষণা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা। গত ৯ মে’র সহিংসতার জন্য সরাসরি ইমরান খানকে দায়ী করেছেন তিনি। ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গ্রেফতার হওয়ার আগে ইমরান খান ব্যক্তিগতভাবে সেনা স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ইমরানের বিচার সামরিক আদালতে হবে কিনা প্রশ্নের উত্তরে রানা বলেন, অবশ্যই। কেনো তার বিচার সামরিক আদালতে হবে না? সামরিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন ইমরান খান এবং পরে তা কার্যকরও করেছিলেন। এটার জন্য সামরিক আদালতের মামলা করা উচিত হবে না?

রানা সানাউল্লাহ্ আরও জানান, গত ৯ই মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তারের পরই রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দপ্তরে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। লাহোরের কমান্ডারের বাড়ি জিন্নাহ হাউসেও করা হয় অগ্নিসংযোগ। এ কারণেই ইমরান খানের বিচার সামরিক আদালতে হওয়া উচিত।
 
এদিকে পিটিআই জানিয়েছে, তাদের ১০ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থককে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করেছে সরকার। নারী রাজনীতিকদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়তে বাধ্য করছে শীর্ষ নেতাদের।

এছাড়া ৯ মে’র ঘটনার নিন্দা জানাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইমরান খান। তার দাবি, সহিংসতার জন্য তার দলের নেতাকর্মীরা দায়ী নন। পিটিআইকে নিষিদ্ধ করতে সরকারই এই ষড়যন্ত্র সাজিয়েছে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: