• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

স্বামী-স্ত্রী এক অফিসে কাজ করলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৩ আগস্ট ২০২৪

ফন্ট সাইজ
স্বামী-স্ত্রী এক অফিসে কাজ করলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

ফাইল ছবি

স্বামী ও স্ত্রী একই অফিসে চাকরি করেন, এমন অনেকেই রয়েছেন। এক অফিসে কাজ করলে ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রভাব পড়তেই পারে। সেক্ষেত্রে পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখা জরুরি। কারণ, কাজের পরিবেশ আর নিজেদের ঘর কখনও এক নয়। আর তাই দুইজনকেই যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে, জেনে নিন এখনই...

অফিস আর বাড়ি মিলিয়ে ফেলবেন না: অফিস কাজের জায়গা। সেখানে পাশাপাশি বসে কাজ করলেও আপনারা একে অপরের সহকর্মী। ব্যক্তিগত সম্পর্ককে অফিসে টেনে না আনাই ভাল। সংসারের কথা আলোচনা, ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা না করাই উচিত। বরং অফিসের সময়টুকু কাজের কথাই বলুন। ব্যক্তিগত সম্পর্কে মনোমালিন্য হলেও তা বাইরে আসতে দেবেন না। দু’জনকেই তাঁদের কাজকে আলাদা আলাদা গুরুত্ব দিতেই হবে।

আগ বাড়িয়ে সাহায্য নয়: আপনার স্বামী বা স্ত্রী মানেই সবকাজে তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে যাবেন না। অফিসে তাঁর কাজের ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নেবেন না। তিনি কী কাজ করছেন, কত ক্ষণ করছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন— এই বিষয়গুলিকে এড়িয়ে যান। অফিসে কতৃত্ব ফলানোর চেষ্টা অথবা সবসময়ে সমর্থন করে কথা বলা বা সাহায্য করার চেষ্টা, দৃষ্টিকটূ!

অফিসে দূরত্ব রাখুন: টিফিন বরং অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেই খেতে যান। স্বামী বা স্ত্রীকেও তাঁর মতো ছেড়ে দিন। সবসময়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকলে বা একসঙ্গে সব কাজ করলে, আপনাদের নিয়ে আড়ালে কথা হতে বাধ্য। অফিসে সারা ক্ষণ মেসেজে চ্যাট, মেলে কথা বলা বা ফেসবুক চ্যাট করা থেকে বিরত থাকুন। বরং চেষ্টা করুন মাঝেমধ্যে আলাদা বাড়ি ফেরার। কোনও ব্যক্তিগত কথা বলার থাকলে বা একসঙ্গে কোথাও যাওয়ার থাকলে অফিসের বাইরে দেখা করুন।

কথা কাটাকাটি নয়: একে অপরের কোনও কথা বা ব্যবহার পছন্দ না হলে, তা নিয়ে পরে আলোচনা করুন। সেই মুহূর্তে চুপ হয়ে যান। অফিসে যদি একে অপরের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তা হলে বাকিরা আড়ালে কৌতুক করবে। চেষ্টা করবেন যাতে অফিসে পরস্পরের সঙ্গে মনোমালিন্যে জড়িয়ে না পড়েন। যদি আলাদা বিভাগ হয় তা হলে অসুবিধা নেই, কিন্তু দু’জনেই একই বিভাগে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের বসার জায়গাতেও দূরত্ব রাখুন। তা হলেই কাজে মনোযোগ আসবে।

বাড়ি ফিরে আর অফিস নয়: অফিসে যেমন সাংসারিক কথাবার্তা বলবেন না, তেমনই বাড়িতে ফিরে আর অফিস নিয়ে কথা বলবেন না। সেই সময়টুকু পরস্পরকে দিন। বাড়ি ফিরেও যদি অফিসের কাজ নিয়ে কথা হয় অথবা সহকর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন, তা হলে তার প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে বাধ্য। কেউ কারও কাজ নিয়ে আলোচনাও করবেন না অথবা উপদেশও দেবেন না। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল থাকলে সবরকম সমস্যার সমাধানই করতে পারবেন সহজে।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: