প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখবে যেসব ‘ফর্মুলা’

সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখা একটা চলমান প্রক্রিয়া। একজনের মধ্যে সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে গেলে তা বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত হয়। অন্যজন অনেক ক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে পড়েন। এই প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। এখন নিত্য নতুন প্রেমের জোয়ারে ভাসে মন। সামান্য কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্যতেই ইতি পড়ে সম্পর্কে। প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বেশ কিছু পুরোনো ‘ফর্মুলা’ রয়েছে। একই সঙ্গে এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা মেনে চললে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
১. সম্পর্ককে সময় দেওয়া জরুরি। সে নতুন হোক বা পুরনো। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে ভাল টোটকা। সেই সময় নিজের সমস্যা, পেশাগত জটিলতার কথা নয়, শুধুই ভালবাসার কথা বলুন।
২. অনেকের মাঝে থেকেও সঙ্গীকে আলাদা করেই গুরুত্ব দিন। বোঝান, আপনি পাশেই আছেন। যদি দূরে যেতে হয়, তা হলেও প্রতিদিন বোঝাতে হবে আপনি তার কথা ভাবেন, তার প্রতিটি সমস্যায় পাশেই থাকবেন।
৩. সম্পর্কে কোনও জড়তা রাখবেন না। সম্পর্ক সহজ করে তুলতে কোনও কিছু চেপে না রেখে মন খুলে বলে দিন। এমনকি, সঙ্গীর কোনও আচরণও খারাপ লাগলে, তা সোজাসুজিই বলুন।
৪. ভালবাসার মানুষটিকে বার বার বলুন ভালবাসার কথা। ভাল সম্পর্কের জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন তার প্রকাশেরও।
৫. প্রতিশ্রুতি দিলে তা রাখার চেষ্টা করুন। কথা দিয়ে কথা না রাখার অভ্যাসে বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ে। দেখা করবেন বলে দেখা দিলেন না, কিংবা ফোন করার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন, দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
৬. সব সময়ে একে অপরের সঙ্গে মতের মিল হবে না। মতান্তর থাকবেই। তবে তাই বলে সব সময়ে অপরজনের বিরুদ্ধে যাওয়া ঠিক নয়। এমন অনেক বিষয় থাকবে, যা হয়তো আপনার পছন্দ নয়। পারস্পরিক বোঝাপড়ায় তার সমাধান করতে হবে।
৭. একে-অপরের খারাপ সময়ে মানসিক জোর দিন। সম্পর্ক ভাল রাখতে মানবিক স্পর্শ জরুরি।
৮. ছোট ছোট বিষয়েও সঙ্গীকে সাহায্য করুন। কাজ বা দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং ভাগ করে নিন। তা হলে একে অপরের প্রতি সম্মান থাকবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দায়-দায়িত্ব নিয়ে মনোমালিন্য হবে না।
৯. সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করুন। বাইরের চাকচিক্য সাময়িক। অন্যের সঙ্গে তুলনা না টেনে, তার ভাল দিকগুলিকেই বুঝতে হবে। নিজের মতো করে সঙ্গীকে বদলানোর চেষ্টা সম্পর্কে তিক্ততা আনতে পারে। বরং তাকে তার মতো করেই বোঝার চেষ্টা করুন। এতে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসার জায়গা তৈরি হবে।
১০. সম্পর্কে আছেন মানেই ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু থাকবে না, তা নয়। সম্পর্কেও একটি লক্ষণরেখা থাকা জরুরি। চেষ্টা করুন সেই রেখা না ডিঙানোর। তাতে সম্পর্ক ঠিক থাকবে।
১১. একে অপরের স্বপ্নপূরণে উৎসাহিত করুন। এতে সম্পর্কের শিকড় ধীরে ধীরে আরও গভীরে ছড়াতে শুরু করবে। সঙ্গীর ভরসার মানুষ হয়ে ওঠাই সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায়।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: