অন্যের উপর যে প্রত্যাশাগুলো করলে জুটতে পারে কষ্ট

প্রতিকী ছবি
অনেক সময় মানুষ অন্যের উপর ভরসা করে, প্রত্যাশা রাখে। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলেই মন ভেঙে যায়। কিন্তু নিজে ভালো থাকার জন্য, খুশি থাকার জন্য অন্যের উপর ‘এক্সপেক্টেশন’ বা প্রত্যাশা রাখা কি ঠিক? আসলে, নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজেরই। অন্যের উপর রাখা আশা সব সময় পূরণ হয় না। হতেই পারে আপনি আপনার পার্টনারের উপর নানা রকম প্রত্যাশা রাখছেন। সে হয়তো কিছুটা জানে, বোঝে। কিন্তু ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে সেই প্রত্যাশা সে পূরণ করতে পারেনি। তখনই আপনার মন ভাঙল। আপনি কষ্ট পেলেন। তাই নিজেকে ভালো রাখতে গেলে শুধু পার্টনার কেন, কোনও মানুষের উপরই প্রত্যাশা রাখবেন না। নজর দিন এ বিষয়গুলোতে।
১. আপনার মাথার ভিতর কী চলছে, তা সামনের মানুষটা বুঝে যাবে—এমন প্রত্যাশা রাখা বোকামি। আপনি কী চাইছেন, সেটা আপনি না বললে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়। এমনকি আপনার মনের ভিতর কী চলছে, সেটাও বোঝা সম্ভব নয়। আর সামনের মানুষটা যখন বুঝবে না আপনি কী চাইছেন বা আপনি কী আশা করছেন তার থেকে, তখনই আপনি কষ্ট পাবেন। আপনার অনুভূতিতে আঘাত লাগবে। তা ছাড়া আপনার ‘পয়েন্ট অফ ভিউ‘ অর্থাৎ আপনার চিন্তাধারা যে সবার সঙ্গে মিলবে, তা নাও হতে পারে। তাই নিজের চিন্তাভাবনা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া এবং এটা প্রত্যাশা করা যে সে বুঝবে এবং সেটাই মানবে এটাও ভুল। আপনিও সেই মানুষটার জায়গায় দাঁড়িয়ে এই সব কাজ করতে পারবেন না।
২. কোনও মানুষ ‘পারফেক্ট’ হয় না। ‘পারফেক্ট’-এর সংজ্ঞাও ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হতে পারে। সুতরাং, আপনি যে রকম ‘পারফেক্ট’ মানুষের আশা করছেন, তেমনটা নাও হতে পারে। মানুষ সব কাজ পারে না। এটা আপনাকে স্বীকার করতে হবে। আপনি সামনের মানুষটার থেকে ‘পারফেক্ট’ হওয়ার আশা রাখেন, তা হলে বোকামি হবে। পাশাপাশি সেই মানুষটা শুধু আপনার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করবে, এই আশাও রাখবেন না।
৩. সে আপনার যতই ভালো বন্ধু হোক, কিংবা আপনার পার্টনার, কারও পক্ষে সারাক্ষণ আপনাকে সময় দেওয়া সম্ভব নয়। তাও এই ব্যস্ততার যুগে। কোনও মানুষ সব সময় আপনার জন্য ফাঁকা সময় নিয়ে বসে থাকবে, আপনার যখন তাকে দরকার, সে হাজির হবে—এই আশা কারও উপর রাখবেন না। আপনিও সব সময় সবার জন্য ফাঁকা থাকেন না। কাজ, পরিবার, নিজের জন্য সময়—এগুলো সবার জীবনেও থাকেই। আপনার জীবনেও রয়েছে। সুতরাং, এই আশা রাখবেন না।
৪. বন্ধু হোক বা পার্টনার, কিংবা পরিবার—কারওই দায়িত্ব নয় আপনাকে খুশি রাখা। নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। তাই এই বিষয়ে কারও উপর কোনও প্রত্যাশা রাখবেন না। যদি কারও উপর কোনও প্রত্যাশা রাখেন এবং সেটা যদি পূরণ না হয়, তা হলে সে বিষয়ে বেশি ভাববেন না। মন খারাপ নিয়ে বসেও থাকবেন না। ‘লেটিং গো’ করতে শিখুন। অর্থাৎ যা খারাপ কিছু ঘটে গিয়েছে, তাকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলুন।
সূত্র: এই সময়
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: