বিটের যত গুণ

বিটরুট বা বিট একটি সুপরিচিত সবজি। বাজারে প্রায় সারাবছরই এর দেখা মেলে। পুষ্টিবিদরা একে সুপারফুড বলে থাকেন। সুন্দর রঙের পাশাপাশি বিটে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। রয়েছে ঔষধি গুণও।
জেনে নেওয়া যাক বিটের কিছু উপকারিতা।
১। ক্যালরির মাত্রা কম: বিট পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ক্যালরির মাত্রা রয়েছে অনেক কম। পুষ্টিবিদরা বলেন, মানবদেহে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ দরকার তার বেশিরভাগই বিটে রয়েছে। বিট ফলেট নামক ভিটামিনে ভরপুর। এটি হৃদপিণ্ডের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। বিট ম্যাঙ্গানিজেরও ভালো উৎস, যা হাড়ের গঠন, পুষ্টি বিপাক, মস্তিষ্কের কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত। পাশাপাশি বিটে কপার রয়েছে, যা শক্তি উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। বিটে নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি থাকায় হৃদযন্ত্রের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৩। সক্ষমতা বৃদ্ধি: যারা বিভিন্ন খেলাধুলা করেন তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখতে পারে বিট। বিটরুটের জুস অক্সিজেন ব্যবহার এবং সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে বিটরুটের জুস সাইক্লিং যারা করেন তাদের অক্সিজেন ব্যবহারের মাত্রা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। পুষ্টিবিদরা খেলাধুলা বা প্রশিক্ষণের ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে এই জুস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৪। প্রদাহ কমাতে: বিটে প্রদাহ কমানোর জন্য বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। এতে করে প্রদাহজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছুটা হলেও উপকার পেতে পারেন।
৫। হজমশক্তি বাড়াতে: এক কাপ বিটরুটে ৩ দশমিক ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। হজমের জন্য ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ। বিট হজমশক্তি বৃদ্ধি করে পেটের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
৬। অ্যান্টি-ক্যান্সার গুণ: বিটে রয়েছে বিটেইন, ফেরুলিক, রুটিনের মত এমন কিছু উপাদান যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে পারে। তবে, এই ক্ষেত্রে আর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্র: হেলথলাইন
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: