• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইনসুলিন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে কি?

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২৪ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৭:১৫, ২৪ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ

রোগ, অসুস্থতা মানে না কোনো কিছু, মানে না ধর্ম। রোজা পালন অবস্থায় অসুস্থদের ওষুধপত্র সেবন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু রোজা রেখে ওষুধপত্র খাওয়া ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা নিয়ে অনেকের মনে এ সময় সংশয় দেখা দেয়। 

কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগী এসব ব্যবস্থাপত্র নিলে রোজার ক্ষতি হয় না বা রোজা নষ্ট হয় না। রোজা থাকাবস্থায় বেশ কয়েকটি পন্থায় ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হবে না বলে— সমসাময়িক ইসলামিক স্কলাররা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। 

রোজা রেখে ইনজেকশন নেওয়া

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া অন্য যে কোনো কারণে ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। চাই তা মাংসে নেওয়া হোক বা রগে নেওয়া হোক। কারণ, ইনজেকশনের সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত ওষুধ মাংস বা রগের মাধ্যমেই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে, যা অস্বাভাবিক প্রবেশপথ। তাই এটি রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়।

(ইবনে আবিদিন, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৩৯৫; ইবনু নুজাইম, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ২৭৮; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ২১৪)

রোজা রেখে ইনসুলিন নেওয়া যাবে?

রোজা থেকে ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙবে কি না? এই প্রশ্নের উত্তর হলো- না, রোজা ভাঙবে না। কারণ, ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না। (ইবনে আবিদিন, খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ৩৬৭;  ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, পৃষ্ঠা : ৩২৭)

রোজায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যাবে?

রোজা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙে না। তাই টেস্ট বা পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়া যাবে। তবে এ পরিমাণ রক্ত দেওয়া মাকরুহ— যার কারণে শরীর অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোযা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই দুর্বল লোকদের জন্য রোযা অবস্থায় অন্য রোগীকে রক্ত দেওয়া ঠিক নয়।

আর এমন সবল ব্যক্তি যে রোজা অবস্থায় অন্যকে রক্ত দিলে রোজা রাখা তার জন্য কষ্টকর হবে না— সে রক্ত দিতে পারবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। আর যেহেতু ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোঁটা রক্ত নেওয়া হয়, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৩৬, ১৯৪০; আল-বাহরুর রায়েক : ২/২৭৩; কিতাবুল আসল : ২/১৬৮; মাজমাউল আনহুর : ১/৩৬০)

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: