গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিলেন উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রবিবার (৪ মে) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
গুজবের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে গুজব ও অপতথ্য প্রচার করছে। গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলা করা বর্তমান সময়ের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, তথ্যের উৎস অনুসন্ধান ও সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তথ্য কর্মকর্তাদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আইসিটি বিভাগের দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ ফ্যাক্ট চেকিং, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন ও নিউজ মিডিয়া সাক্ষরতা বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য তথ্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গুজব প্রতিরোধে তথ্য কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনা করে আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল ভেরিফিকেশন ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। যারা ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফ্যাক্ট চেকার। প্রশিক্ষকগণ তথ্য বিশ্লেষণে প্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্য ও ইমেজ ভেরিফিকেশন, তথ্যের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উৎস যাচাই প্রভৃতি বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তাদের ধারণা দেবেন। যা তথ্য কর্মকর্তাদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য তথ্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, একটি মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে গুজব প্রচার করছে। গুজব প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গুজব প্রতিরোধে তথ্য কর্মকর্তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য প্রচারের মাধ্যমে তথ্য কর্মকর্তাগণ সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন। তিনি গুজব অনুসন্ধানে তথ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর বলেন, জেলা পর্যায়ে ফ্যাক্ট চেকিং ও তা প্রচারে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রত্যাশা করেন।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: