• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

অবিলম্বে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ১৬ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
অবিলম্বে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে কিংবা নদী ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলনের সুউচ্চ প্রতীক হচ্ছেন মওলানা ভাসানী। আজকে ৫০ বছর বার্ষিকীতে আমাদের আবারো ভাসানীর কাছে ফিরতে হবে। কেননা ভারত-রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি যে অন্যায্য পররাষ্ট্রনীতি ও অবস্থান অব্যাহত রাখছে- সেগুলোকে প্রতিহত করতে মওলানা ভাসানীর দেখানো পথ অনুসরণযোগ্য। ভাসানী বলতেন, নদীর পানি কেবল মানুষের জন্য নয়, এতে সকল প্রাণি ও প্রাণের হক জড়িত।

শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হোন’ এই দাবীতে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমানে ৫৪টা অভিন্ন নদীতে ভারত বাধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে রেখেছে। কাজেই, বিপুল আন্দোলন সংগ্রাম তথা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারত বাংলাদেশের প্রকৃতির ওপর যে মরুকরণ চাপিয়ে দিয়েছে বছরের পর বছর ধরে তা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠেকাতে হবে এবং ভারত রাষ্ট্রের দাপটকে আমাদের ভেঙে ফেলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তথাকথিত লোকদেখানো ভারত বিরোধীতা দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে না বরং ভারতের সাথে যৌথ জায়গাগুলোর মীমাংসা করতে হলে দ্বিপক্ষীয় ভাবে যদি সমাধা না হয় তবে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সেগুলো তুলতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, সেই সাথে বর্তমান বাংলাদেশকে গড়তে হলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত যথার্থভাবেই গণমানুষের জন্য হতে হবে। বর্তমান সংকটগুলোতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাজ হলো সকল সমস্যার সমাধানে দ্রুত সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে তা সমাধান করুন। একটা পক্ষের (নিজেদের) আন্দোলন ন্যায্য; কিন্তু আরেকটা পক্ষের আন্দোলন অন্যায্য এরকম দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে না। মবতন্ত্রের মাধ্যমে যে হামলা হচ্ছে সেগুলো বন্ধ করুন। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে বাংলাদেশকে একটা যথাযথ উত্তরণের দায়িত্ব পালন করুন। জনগণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয় এরকম কোনো তৎপরতা চালিয়ে নিজেদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করার আহ্বান জানান। 

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তির চক্রান্তকে মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এজন্য দরকার জনগণের বৃহত্তর ঐক্যকে আরো শক্তিশালী করা। চট্টগ্রাম বন্দরসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করা। 

নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক নদী চুক্তি অনুযায়ী সালিশী হবে, আন্তর্জাতিক নদী চুক্তি অনুযায়ী সালিশী বিধান ছাড়া যেকোনো চুক্তি হলো বাংলাদেশের সাথে প্রতারণা। তিনি বলেন, দিনের পর দিন তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর না করে ফেনী নদী থেকে পানি তুলে নেয়া হয়, আমাদের ৫৪টি নদীর উপর বাধ নির্মাণ করে নদীগুলো শুকিয়ে মারা হচ্ছে। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, দীপক কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সদস্য সচিব মাহবুব রতন দক্ষিণের আহ্বায়ক আলীফ দেওয়ান, সদস্য সচিব সেলিমুজ্জামান, বাঞ্চারামপুর উপজেলার সংগঠক শামিম শিবলীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2