• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

এনবিআরকে ভাগ করার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি: ড. দেবপ্রিয়  

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ১৯ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
এনবিআরকে ভাগ করার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি: ড. দেবপ্রিয়  

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুইভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, আলোচনা ছাড়া, পেশাজীবীদের সুযোগ সীমিত করে এবং অংশীজনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে এটি করা হয়েছে। এখন এই ভুল সংশোধন করা জরুরি।

সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬: নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এমন মন্তব্য করেন ড. দেবপ্রিয়। প্রবন্ধে দেশের বাজেট এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬: নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট শীর্ষক ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এনবিআরকে দুইভাগ করা ঠিক আছে। এটি আমাদের শ্বেতপত্রের সুপারিশে ছিল। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় এটি ভাগ করা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। আলোচনা ব্যতিরেকে, পেশাজীবীদের জায়গা সংকুচিত ও অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে করা হয়েছে। এটিকে ঠিক করা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রবৃদ্ধি ও বেকারত্বের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি তবে তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কমেছে, ঋণ প্রবাহ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। আবার মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, এডিআই কমেছে ও পুঁজিবাজারের সব সূচকও নিম্নমুখী। এই অবস্থায় কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? বেকারত্বে হার বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হারের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। অর্থাৎ, শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে।

এসব কারণে আমরা জোর দিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এমনটা বলতে পারছি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের নিচে। এটি আরও বাড়াতে হবে। আগামী অর্থবছরেও ১০ এর নিচে থাকছে। তবে পরোক্ষ কর বৃদ্ধির হার বেশি। এর অর্থ হলো- সাধারণ মানুষের ওপরই করের বোঝা বাড়ছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সুদ ব্যয় ও ভর্তুকি এই দুই খাতে রাজস্ব ব্যয় সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। সরকারের অর্থনীতি পরিচালনা কোনো ঘোষিত নীতিমালার আলোকে হচ্ছে না, তা চলছে এডহক ভিত্তিতে। অন্যদিকে দেশের মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য মুদ্রানীতি এখনও প্রতিফলিত হয়নি। এটি ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে আসলে আমরা একটা সিগনাল পাবো। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যুব দারিদ্রও বাড়ছে এটা বলা বাহুল্য।

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2