জুলাই গণঅভ্যুত্থান: টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করেছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নানা চাপের মাঝেই তথ্য জুগিয়েছে বেশিরভাগ গণমাধ্যম। সরকার, বিভিন্ন সংস্থার চাপে হাত-পা বাঁধা গণমাধ্যম গণআন্দোলনের পক্ষে কাজ করেছে। যথেষ্ট ভূমিকা না রাখার অভিযোগও রয়েছে কয়েকটির বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ ও কয়েকটি টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে তথ্য আটকে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। এর মাঝেও গণমানুষের মাধ্যম হয়ে ওঠার চেষ্টা ছিল গণমাধ্যমের।
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ২০২৪ সালের ৬ জুন। শুরুর দিকে গণমাধ্যমের দৃষ্টি কম থাকলেও আন্দোলনের তীব্রতায় সেটি জায়গা করে নেয় টিভি নিউজের হেডলাইন ও পত্রিকার প্রথম পাতায়। জুলাইতে আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠলে সরকার তথ্য প্রচার না করতে এবং আন্দোলনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ প্রচারে চাপ দিতে থাকে গণমাধ্যমগুলোকে। দেশজুড়ে বন্ধ করে দেয় ইন্টারনেট সংযোগ। বাংলাভিশনসহ কয়েকটি টেলিভিশনের সম্প্রচার কয়েকদফায় হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ করে দেয় হাসিনা সরকার।
কিছু ব্যতিক্রম বাদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছিল টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা। জনগণের সাথে আন্দোলনকারীদের যোগসূত্রের অন্যতম বার্তাবাহক হয়ে ওঠে গণমাধ্যম।
গণমাধ্যমের জবাবদিহিতা ও ইতিবাচক ভূমিকা গণতান্ত্রিক যেকোনো আন্দোলনকে সফল করে তোলে। শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, জনমত তৈরি ও জনআকাঙ্ক্ষার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সমলোচনাকে সঙ্গী করেই নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে গণমাধ্যম।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: