এখনও উড়ছে ধোঁয়া, বিমানবন্দরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগা আগুন ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও ধ্বংসস্তুপ থেকে বের হচ্ছে ধোয়া। কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য কমপ্লেক্সে লাগা আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডে শত শত টন আমদানি পণ্যের ক্ষতি হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। সাধারণত কম ওজনের মেশিনারিজ, দ্রুত পচনশীল বিভিন্ন ধরনের পণ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী, গ্যাজেট, ইলেকট্রনিকস ও যন্ত্রাংশ, তৈরি পোশাক ও কাপড়, বাণিজ্যিক কুরিয়ার ও ডকুমেন্টসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে রাখা হয়। কার্গো ভিলেজে সংরক্ষিত এসব পণ্যের আর্থিক মূল্য কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘কার্গো কমপ্লেক্সে খোপ খোপ ও কনক্রিটের দেয়ার কারণে প্রতিটি অংশকে আলাদাভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। তবে বাতাস বেশি থাকায় খোলা জায়গার এক্সপোজ আইটেমগুলো দ্রুত পুড়ে গেছে।’
অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, সংকট অতিক্রম করতে আমাদের দেশবাসীর প্রার্থনা দরকার।
এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর জানায়, অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার কোনো ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে এবং জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টায় কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের কুরিয়ারের গুদামে আগুন লাগে। আগুন ধীরে ধীরে পুরো কমপ্লেক্সে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস, বিমানবাহিনীর নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩৭ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য একযোগে কাজ করে সাত ঘণ্টা। পরে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: