• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচন আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ইসি’র নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১৪:০১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নির্বাচন আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ইসি’র নির্দেশনা

ছবি: বাসস

সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তিনটি প্রধান পর্যায়ে (তফসিল ঘোষণার পূর্বে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী) কাজ করার নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এছাড়া, নির্বাচনকালীন পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ভুল তথ্য প্রচার রোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূলত তিনটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

১. তফসিল ঘোষণার পূর্বে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।

২. তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সকল প্রার্থীর নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আমর্ড পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, কোস্টগার্ড এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

৩. নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম: নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধে নির্বাচনের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বা ২ দিন পর্যন্ত স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এই সময়ে আইনগত নির্দেশনা প্রদানের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংক্ষিপ্ত বিচার কাজের জন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ও বিশেষ পদক্ষেপগুলো বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। চলমান প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠান বাছাই।

এছাড়াও, ইসি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে। সেগুলো হলো- শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার কর্মপরিকল্পনা, সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, এআই নির্ভর ভুল তথ্য প্রচার রোধ, বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনা, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।     
 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2