নিঝুম দ্বীপের মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সাঁকো
নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার ১১ নং ইউনিয়ন নিঝুম দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রায় ১৭ হাজার লোকের বসবাস। দ্বীপটি মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। তাই নিঝুম দ্বীপ দেখতে মানুষ বারবার ছুটে আসেন বঙ্গোপসাগরের পাড়ে। এই দ্বীপে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, পর্যটন কেন্দ্র, বাজার, সমুদ্র সৈকত ও বনের বিচিত্র হরিণ।
নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার থেকে বন্দরটিলা বাজারে আসতে হয় ছোঁয়াখালী খালের উপর কাঠের সাঁকো দিয়ে। দুই বছর আগে ছোঁয়াখালী বাজারের কালভার্টটি ভেঙে যায়। পরে নিঝুম দ্বীপের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মেহেরাজ উদ্দিন-এর প্রচেষ্টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাঠের সাঁকোটি তৈরি করা হয়। এতে স্থানীয়রা চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও কাঠের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপারে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। প্রতিদিন স্কুল, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ, যাত্রীবাহী সিএনজি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও টমটমসহ ইঞ্জিনচালিত যানবাহন এর উপর দিয়ে পারাপার করছে।
প্রতি বছর পর্যটকরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিঝুম দ্বীপ দেখতে আসেন। তাঁদেরকেও ঝুঁকি নিয়ে কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মেহেরাজ উদ্দিন জানান, নিজ অর্থয়ানে জনগণের সহযোগিতায় ছোঁয়াখালী খালের উপর কাঠের সাঁকোটি তৈরি হয়। বিভিন্ন মহলসহ কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার আবেদন করলেও নতুন ব্রিজ বা কালভার্টের বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দেয় তাহলে নিঝুম দ্বীপের মানুষ বড় ধরনের ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
তিনি বলেন, ছোঁয়াখালী খালের উপর কালভার্টটি নতুন করে নির্মাণ হলে এই দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
বিভি/এএইচ/এএএন/এসডি
মন্তব্য করুন: