নৌকার সমর্থক যখম, স্বতন্ত্রের প্রচারণায় বাধাসহ তিন বিষয়ে প্রতিবেদন চায় ইসি

আসন্ন মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থককে মাথায় আঘাত করে যখম, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্তৃক ইভিএম-এর ভোট সম্পর্কে ফেসবুকে অপপ্রচারের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা নির্দেশনা দিয়ে এই সংক্রান্ত চিঠি চট্টগ্রাম, নরসিংদী ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:
- অবৈধ মজুত ঠেকাতে মাঠে খাদ্য মন্ত্রণালয়, ফোনেও তথ্য নেবে
- জনগণকেই সরকার নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের পাশে নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগালে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের সমর্থকের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে মর্মে মেহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কমিশনকে জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যাচাই করে প্রকৃত ঘটনা, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করত: প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠানোর জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের আনারষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আনারস সমর্থনকারী লোকজনের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ও প্রচারণায় যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। এতে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কে ভুগছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। পাশাপাশি সকল প্রার্থী যাতে নির্বাচনি আচরণবিধি অনুসরণপূর্বক নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী ঘোষণা দেন যে, ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য নিজের লোক রাখবেন। একই সাথে ইভিএম না থাকলে রাতেই সবভোট নি নিয়ে ফেলতেন এমন বক্তব্য বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যাচাই করে প্রকৃত ঘটনা, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করত: প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠানোর জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্তব্য করুন: