চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরছেন ১২০ টাকা বেতনেই

কাজে ফিরছেন চা-শ্রমিকরা, বেতন ১২০ টাকা। সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চা শ্রমিকদের সাথে বৈঠকের পর শ্রমিকরা আগের মজুরীতে কাজে যোগদান করতে সম্মত হয়।
কিন্তু সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে অনেক শ্রমিকই রাতের সিদ্ধান্ত জানে না বলে জানান। তারা বলেন, সিদ্ধান্ত জানার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাজে যোগদান করব কি না।
গত ২০ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে চা-শ্রমিক ও সরকারের সভার পর নির্ধারিত নতুন মজুরি ১৪৫ টাকা সিদ্ধান্তের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা জানান চা-শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সাধারণ চা-শ্রমিকদের তোপের মুখে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন চা-শ্রমিক ইউনিয়ন।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, চা-শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখেই তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন এবং কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা মেনে নেব।
সভায় যে সিদ্ধান্ত গুলো নেওয়া হয়: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২২ আগস্ট থেকে কাজে যোগদান করবেন। আপাতত চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরির বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হওয়ার জন্য চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করবেন যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপস্থাপিত হবে। চা-শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করবেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর সময় বিবেচনা জানাসহ তার কার্যালয়ে পাঠাবেন। বাগানমালিকরা বাগানের প্রচলিত প্রথা/দর মোতাবেক ধর্মঘটকালীন মজুরি শ্রমিকদের পরিশোধ করবেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: