কক্সবাজারে এখন বাতাস থেকে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ
সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা টারবাইনগুলো ঘুরছে। এতে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ। উন্নত বিশ্বের কোনো দেশ নয় চিত্রটি বাংলাদেশেরই। কক্সবাজারে সম্প্রতি চালু হওয়া এই বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এখন প্রায় ৩০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে সব সময়ই থাকে সমুদ্র থেকে আসা প্রবল গতিবেগের বাতাস। সেই বাতাস কাজে লাগিয়েই উৎপাদন করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ। চীনা প্রযুক্তিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বেসরকারি উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে এই বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
চীনের অর্থায়নে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা ইউএস–ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড। ৯০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের সব যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে চীন থেকে। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ। মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রস্তুত হয়েছে প্ল্যান্টটি। বর্তমানে এখানকার প্রতিটি টারবাইন থেকে দৈনিক গড়ে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২টি টারবাইনের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা হবে ৬০ মেগাওয়াট। তবে এখন মাত্র ১০টি টারবাইনের মাধ্যমে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আগামী ডিসেম্বরে বাকি টারবাইনগুলো স্থাপন শেষ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এবং তুলনামূলক কম খবচের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এজন্য আরও ২০টি টারবাইন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এজন্য সরকারের কাজ থেকে ভূমিও চেয়েছে ইউএস–ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: