গ্রিন ভলেন্টিয়ার তৈরিতে চুক্তিবদ্ধ হলো ওয়াটারকিপার্স-এমজিবি
দেশে সবুজায়ন, সবুজ সংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন জোরদারকরণসহ সব ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম জোরদার করতে অভিজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতিশীল স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় ৩ মাসে হাতে-কলমে ট্রেনিং দিয়ে ৫ জন তরুণকে আন্তর্জাতিক মানের সবুজ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তৈরি করবে সংস্থা দুটি।
বুধবার (৩ জুলাই) মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিংয়ে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে দুই সংস্থার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়ক এবং ওয়াটারকিপার্স এলায়য়েন্সের নির্বাহী সদস্য শরীফ জামিল। মিশন গ্রিন বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির আহ্বায়ক আহসান রনি। এ সময় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের পক্ষে সংস্থাটির ব্যবস্থাপক মামুন কবীর ও মিশন গ্রিন বাংলাদেশের পক্ষে পরিচালক কেফায়েত শাকিলও উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির বিষয়ে সংস্থা দুটি জানিয়েছে, দেশব্যাপী সবুজপ্রেমি স্বেচ্ছাসেবক তৈরির লক্ষ্যে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ঢাকায় ৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে ৩ মাসের গ্রিন ভলেন্টিয়ার সার্টিফিকেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাছাইকৃত ৫ জন যুবককে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুধু ঘরোয়া প্রশিক্ষণই নয়, এই কর্মসূচির অধীনে তাদের হাতে কলমে সবুজায়ন, সবুজ সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার প্রশিক্ষণও করবে। এই স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে ঢাকায় একটি ছোট বনও তৈরি করা হবে। লিডারশীপ, টিম ম্যানেজমেন্ট, গ্রিন থিংকিং, পরিবেশ বিদ্যা, গাছ লাগানো, গাছ পরিচর্যা, ফায়ার ট্রেনিং, প্রাথমিক চিকিৎসা ট্রেনিং, আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ারদের সাথে সেশন, দেশি-বিদেশী ট্রেইনারদের কাছ থেকে বিশেষ ট্রেনিং পাবেন ভলান্টিয়াররা।
প্রশিক্ষণ শেষে অভিজ্ঞ ভলেন্টিয়ারদের সার্টিফিকেট ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা শুধু দেশে নয়, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মতো করেই তাদেরকে নিয়ে এই ট্রেনিং প্রোগ্রামটি পরিচালনা করবেন বলে আশা করছেন সংস্থা দুটির কর্মকর্তারা। এই কর্মসূচি সফল হলে সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন স্বেচ্ছাসেবক তৈরির প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তারা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী, ইআরডিএ-র নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন চৌধুরী, ডেইলি সান পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক আল আমিন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, চুনতি রক্ষায় আমরা-এর সমন্বয়ক সানজিদা রহমান, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, স্প্রিহা-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহা মাহমুদ ত্রিনা প্রমুখ।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: