• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পরিবেশ আইন মানেন না খোদ পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারাই

কেফায়েত শাকিল

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ৩ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৪:৩৫, ৪ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
পরিবেশ আইন মানেন না খোদ পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারাই

বায়ু ও শব্দ দূষণ রাজধানী ঢাকার নিয়মিত সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত চলছে আলোচনা সমালোচনা। জনগণকে সচেতন করে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বাজেটের একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদফতর। ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্পের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও নূন্যতম উন্নয়ন হয়নি ঢাকার শব্দমানের। জনগণতো দূরের কথা সচেতন হয়নি দূষণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারাও।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও বর্ষবরণে হয়েছে ব্যাপক দূষণ। ফানুস ওড়াতে গিয়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডও। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গবেষণা বলছে, এবার বর্ষবরণের দূষণ ছাড়িয়েছে বিগত সব রেকর্ড। এই দূষণে উৎসুক মানুষের সংগে শামিল হতে দেখা গেছে মো. খালেদ হাসান নামের পরিবেশ অধিদফতরের প্রশাসন শাখার এক উপ-পরিচালক এবং সাবেক পরিচালক ফাহমিদা খানমকে।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী অযথা শব্দ তৈরি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য রয়েছে শাস্তির বিধানও। অপরদিকে বায়ু দূষণও পরিবেশ আইনে অপরাধ। যা জনগণকে জানিয়ে সচতেন করা এবং প্রয়োজনে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া পরিবেশ অধিদফতরের দায়িত্ব। অথচ ২০২২-এর ১ জানুয়ারি নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. খালেদ হাসান। সেখানে পটকা ও আতশবাজী ফুটিয়ে শব্দ তৈরি ও ফানুস ওড়ানোর ভিডিও প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা। একই ধরনের পোস্ট দিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তা ফাহমিদা খানমও। সেই পোস্টে প্রতিবাদ না জানিয়ে লাইক ও কমেন্টস করতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অনেককেই। 

আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা আইন ভাঙতে পারেন কি না জানতে চাইলে অভিযুক্ত পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. খালেদ হাসান বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, আপনি যেটিকে ইস্যু করেছেন এটা ঠিক। আমরা শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে অনেক কাজ করছি। কিন্তু আমার ওয়ালে এই পোস্টটি বাচ্চারা দিয়েছে। আমি এখনই সরিয়ে নিচ্ছি।

পরিবেশ অধিদফতরের চলমান শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির। জনসচেতসতাতো বহুদূর তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে নিজের কার্যালয়েও সচেতনতা তৈরি করা যায়নি বিগত দুই বছরে। কেন এই অবস্থা জানতে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ করেননি হুমায়ুন কবির। মেসেজ দেওয়ার পরও কোনো সাড়া দেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা।

 

বিভি/রিসি 

মন্তব্য করুন: