• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘দুর্যোগে জান-মালের ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে এনেছে সরকার’

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২৩ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
‘দুর্যোগে জান-মালের ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে এনেছে সরকার’

দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নতুন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সর্বপরি দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ বাড়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত "বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমনে আগাম সতর্কবার্তা" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুসদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার । সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- গোপালগঞ্জ এর  ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে থাকার পরও দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

তিনি বলেন,‘আমাদের সাত হাজার সাইক্লোন সেন্টার ও বন্যাদুর্গতদের জন্য ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিরাপদে আশ্রয় ও অবস্থানের জন্য এই সাইক্লোন সেন্টারগুলোর মান উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা থাকার জায়গা, গর্ভবতী ও মাতৃদুগ্ধ দানকারী নারীদের আলাদা থাকার জায়গা এবং প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩টি করে টয়লেট ও একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট রাখা হয়েছে।’

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)'তে নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)'তে ৭৬ হাজার স্বেচ্চাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ নারী স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। এ জন্যই এত বেশি নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যেন নারীদের অধিকার আদায়ে ও দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে সেসব নারী কাজ করতে পারে। নারীরা যখন কাজ করে, তখন তাদের নজর থাকে নারীদের ওপর। নারীরা সহজেই একটা নারীকে সাহায্য করতে পারে।’

১৯৭০ সালের সাইক্লোনের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। সে সময় নারী ও পুরুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন নারী ও পুরুষের মৃত্যুর অনুপাত ছিল ১৪:১ । আজকের বাংলাদেশের চিত্র কিন্তু তেমনটা আর নেই। ঘূর্ণিঝড়সহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমের কারনে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন: