• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মোখার তাণ্ডব শেষ, ৫ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কায় সতর্কতা জারি

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১৫ মে ২০২৩

আপডেট: ০৯:১৪, ১৫ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
মোখার তাণ্ডব শেষ, ৫ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কায় সতর্কতা জারি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের ভূখণ্ড অতিক্রম করে যাওয়ার আগে সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও উখিয়ায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। দমকা হাওয়ার সাথে প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি উত্তাল ছিল সাগর। পরে ধীরে ধীরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে মোখা শান্ত হওয়ার পর শঙ্কা দেখা দিয়েছে পাহাড়ধসের। ৫ জেলায় জারি হয়েছে সতর্কতা।

কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূলের প্রায় সাতশ' আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া দুই লাখ ৩৫ হাজার মানুষ প্রহর গুনছে বাড়ি ফেরার। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি পাঁচ জেলা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে ভূমিধসের শঙ্কায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। 

সেন্টমার্টিনে এভাবেই তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ১০০ কিলোমিটারের বেশি। উপকুল পার হওয়ার সময় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফেও। উত্তাল সাগরের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে উপকূলে। তীব্র বাতাসের সাথে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙেছে বাড়িঘর গাছপালা।

ঝড়ের মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটেছেন অনেকে। এছাড়া, আগেই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেন উপকূলের হাজারো মানুষ। তাদের দেখভাল করছে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তারা। 

এদিকে, পাহাড়ী পাঁচ জেলা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে ভূমিধসের শঙ্কায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে হট লাইনও।

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র তেমন প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রামে। সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও দমকা হাওয়া নেই। তবে মাতারবাড়ি এলএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী।

নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে গুড়ি গুড়ি  বৃষ্টি  হচ্ছে। বাতাসের তীব্রতা কম হওয়ায় আশ্রায় কেন্দ্রেও আসেনি কোন মানুষ। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। মোখা নিয়ে সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলবাসী আতঙ্কিত হলেও এর তেমন প্রভাব পড়েনি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: