• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না: রহমাতুল্লাহ

প্রকাশিত: ২২:৩০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২২:৩১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না: রহমাতুল্লাহ

বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের সাথে তার নিজস্ব কার্যালয় ও সন্ধ্যায় একটি রেস্তোরাঁয় সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।   

এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল ধর্ম-বর্ণ গোত্রের সমন্বয়ে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের গোড়াপত্তন করেছিলেন। তার প্রণীত ১৯ দফা কর্মসূচির আলোকে শক্তিশালী সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে ওঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে উদযাপন করবে। কেউ কারও ধর্মকে কটাক্ষ করবে না বা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না। বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না বা ক্ষমতা পরিবর্তনে অসৎ উদ্দেশে ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না।

সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করা বাংলাদেশের সাংবিধানিক অধিকার। কোন ধর্মের বা গোত্রের সেটি বিবেচ্য নয়। তবে বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে থেকেছে। ধর্মের ভিত্তিতে সমাজের বিভাজন বিএনপি বিশ্বাস করে না। 

আসন্ন দুর্গা পূজা উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং শংকামুক্তভাবে পালিত হবে এ বিষয়ে উল্লেখ করে রহমাতুল্লাহ আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারী একটি মহল সবসময় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু গুজব রটানোর চেষ্টা করে ব্যক্তিগত বা সামাজিক দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়ে উৎসবের স্থানকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা কর্মসূচির ঘোষনা করেছেন তার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে ধর্মীয় বিভাজন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

পৃথক কর্মসূচিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বরিশাল মহানগরের সভাপতি ভানু লাল দে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, জেলার সভাপতি মানিক মুখার্জি কুন্ডু ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহানগরের সভাপতি আলবার্ট রিপন বর্লভ ও সাধারণ সম্পাদক লিমন সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু রাজেস্বর বর্নিক ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেবনাথ, শ্রী শ্রী কালিগঞ্জ দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সুজন বসু, বরিশাল জেলা নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক সুজন চন্দ্র শীল, সদস্য সুখদেব সরকার,  জয়দেব দাস মিন্টু, সৌরভ চন্দ্র রায়, আপন সরকার, জয়দেব চন্দ্র শীল প্রমুখ।

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন: