রেস্তোরাঁয় ওয়েটারকে বখশিশ দেওয়া কি ঘুষের পর্যায়ে পড়ে, যা বলছে ইসলাম

প্রতীকী ছবি
আমরা সাধারণত রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে খাওয়া শেষে ওয়েটারদেরকে বখশিশ বা টিপস্ দিয়ে থাকি। কিন্তু এটা কি ঘুষের পর্যায়ে পড়ে? এ বিষয়ে ইসলাম বলছে, কিছু শর্ত সাপেক্ষে বখশিশ দেওয়া এবং গ্রহণ করা জায়েজ। তবে অন্যায়ভাবে কোন সুবিধা লাভ করার উদ্দেশ্য হলে এই লেনদেন অবশ্যই বৈধ নয়। শর্তগুলো হলো—
১. বখশিশের কারণে সাধারণভাবে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি সুবিধা নেওয়া যাবে না।
২. বখশিশ দানকারীকে বেশি সুবিধা দেওয়া হয়, না দিলে কম দেওয়া হয়— এমন হওয়া চলবে না।
৩. বখশিশের জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কেবল স্বতঃস্ফূর্তভাবে যা দেওয়া হয় তা-ই গ্রহণ করতে হবে।
কিন্তু বখশিশের মাধ্যমে যদি অন্যায় সুবিধা নেওয়া হয়, যেমন— বেশি খাবার খেয়ে কম টাকা দেওয়া তাহলে এটা ঘুষ ও চুরির অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তা কোনোভাবেই জায়েজ হবে না।
সাধারণত অতিথি খুশি হয়ে টিপস বা একটু বেশি টাকা দিলে তা নেওয়া জায়েজ আছে কারণ তা হাদিয়ার পর্যায়েই পড়ে।
এমনকি এই টাকা পেয়ে পরবর্তীতে যেন সে গ্রাহকের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে বা ভালোভাবে সার্ভ করে (যা মূলত: ওয়েটারের দায়িত্ব বরং কর্তৃপক্ষ সাধারণত: তা ওয়েটারদের থেকে প্রত্যাশা করে)-এ উদ্দেশ্য থাকলেও সমস্যা নেই। কিন্তু এ নিয়ত থাকলে দানের সওয়াব পাওয়া যাবে না।
সূত্র: ফাতহুল কাদীর ৬/৩৫৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১১/৭৮; মাজমাউল আনহুর ৩/২১৪; রদ্দুল মুহতার ৫/৩৬২
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: