যে ৭ গুনাহ ডেকে আনে ধ্বংস
প্রতীকী ছবি
মহান আল্লাহ তাআলা সকল জীব সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। জীবজগতের সেরা সৃষ্টি মানুষ। এই মানুষ জাতির জন্য কোন জিনিস কল্যাণকর আর কোন জিনিস ধ্বংসের, তাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৭ ধরনের গুনাহকে ধ্বংস ডেকে আনে উল্লেখ করে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দিয়েছেন:
শিরক করা
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য গুনাহ ইচ্ছে হলে ক্ষমা করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরিক করল, সে মারাত্মক গুনাহে লিপ্ত হলো। (সুরা নিসা: ৪৮)
মানুষহত্যা
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করো না। (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৩)
সতী-সাধ্বী নারীকে অপবাদ দেয়া
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, যারা সতী-সাধ্বী সহজ-সরল মুমিন নারীদের প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। (সুরা নূর: ২৩)
(রিয়াদুস সালেহিন: ১৮০২)
সুদ খাওয়া
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, হে ইমানদারগণ, তোমরা দ্বিগুণের ওপর দ্বিগুণ সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করো, যেন তোমরা সুফল পাও। (সুরা আলে ইমরান: ১৩০)
জাদুটোনা করা
জাদু শেখা ও করা দুটোই গুনাহের কাজ। জাদুবিদ্যা শেখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, তারা (দুই ফেরেশতা) যাকেই জাদুবিদ্যা শেখাত, তাকে বলে দিত যে তোমরা (জাদু শিখে) কুফুরি কোরো না। নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের জন্য পরীক্ষা। (সুরা বাকারা: ১০২)
এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে এতিমের সম্পদ গ্রাস করে, তারা আসলে নিজেদের পেটে আগুনই ভক্ষণ করে। শিগগিরই তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। (সুরা নিসা: ১০)
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানো
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, আর যে ব্যক্তি লড়াইয়ের ময়দান হতে পিছু হটে যাবে সে আল্লাহর গজব সঙ্গে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন করতে কিংবা নিজ সৈন্যদের নিকট স্থান নিতে আসে সে ব্যতীত। (আনফাল:১৬)
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: