হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কায় ১০ হাজার জন, সোমবার দুপুরের মধ্যে ভিসা আবেদনের নির্দেশ

চলতি বছর বাংলাদেশের হজ কোটার আওতায় আগ্রহী ১০ হাজার ব্যক্তির ভিসার আবেদন এখনও করা হয়নি বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার (৫ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের ভিসার আবেদন করতে এজেন্সিগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে তারা এবার হজে যেতে পারবেন না।

রবিবার (৪ মে) লিড বা সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে এ কথা জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শনিবার (৩ মে) দুপুর ১২টায় জরুরি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছে, যেসব হজযাত্রীর এখনও ভিসার আবেদন দাখিল করা হয়নি, তাদের ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে দাখিল করতে হবে। ওই সময়ের পরে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর আর কোনোভাবেই ভিসার আবেদন দাখিল করা যাবে না। ফলে তারা ২০২৫ সালে হজে যেতে পারবেন না।

আগ্রহীদের পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট, বাড়ি বা হোটেল ও ফ্লাইটের তথ্যসহ ভিসার আবেদন ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট সব লিড এজেন্সিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হজ এজেন্সির অবহেলার কারণে কারও ভিসার আবেদন ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে দাখিল করা না হলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সিকে বহন করতে হবে সতর্ক করে চিঠিতে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সমন্বয়কারী এজেন্সির কোনো অবহেলা দেখা গেলে এ বিষয়ে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে তাদেরও।

লিড এজেন্সি বা সমন্বয়কারী এজেন্সির অবহেলার কারণে কারও হজে যাওয়া অনিশ্চিত হলে ওই সমন্বয়কারী এজেন্সি বা লিড এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে সতর্ক করা হয়।

এরইমধ্যে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ৩১ মে।

বাংলাদেশ থেকে এবার মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন।