পবিত্র আশুরার রোজা কয়টি, যা বলেছেন নবীজি (স.)

পবিত্র আশুরার রোজা রাখা মুসলিমদের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ও ফজিলতের। আশুরার রোজা রাখার পাশাপাশি নিয়মিত নামাজ আদায়, বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার করা এবং সৎ কাজ করাও ফজিলতের। এসব কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
বাংলাদেশে শুক্রবার (২৭ জুন) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। সে অনুযায়ী ৬ জুলাই (রবিবার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
বিভিন্ন হাদিসে পবিত্র আশুরার রোজার ফজিলত উল্লেখ রয়েছে। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহর কাছে আমি আশা পোষণ করি, তিনি আশুরার রোজার মাধ্যমে আগের এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (তিরমিজি : ৭৫২)
পবিত্র আশুরার দুটি রোজা রাখতে হবে। এ হিসেবে ৯ মহররমের শনিবার (৫ জুলাই) ও ১০ মহররম রবিবার (৬ জুলাই) অথবা ১০ মহররম রবিবার (১৭ জুলাই) ও ১১ মহররম সোমবার (১৮ জুলাই) দুইটি রোজা রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে পবিত্র আশুরার দিন একটি রোজা এবং এর আগে অথবা পরের দিন একটিসহ মোট দুটি রোজা রাখতে হবে।
পবিত্র আশুরার রোজা রাখা নিয়ে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল যেন না হয় সেজন্য মহররমের ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরও একটি রোজা রাখ। (মুসনাদে আহমদ : ২১৫৪)
পবিত্র আশুরার রোজা রাখাসহ অন্যান্য ইবাদত পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর আরও কাছাকাছি আসতে পারি এবং তার রহমত ও মাগফিরাত অর্জন করতে পারি।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: