• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মহানবীর (স.) সুখবর পেয়ে থাকলে শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখুন

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৪ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
মহানবীর (স.) সুখবর পেয়ে থাকলে শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখুন

ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বিষাদগ্রস্থ করে বিদায় নিয়েছে মাহে রমজান। আরবি বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাসের বিদায়ের পর আগমণ ঘটেছে শাওয়াল মাসের। যে মাসেরও বিশেষ ফজিলতের কথা বলে গেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)।

শাওয়াল মাসে অনেকে ৬টি রোজা রাখেন। কারণ এ রোজাগুলো পালন করলে বছরজুড়ে রোজা রাখার সওয়াব পাওয়ার সুখবর দিয়েছেন বিশ্বনবী (স.)। তবে বছরজুড়ে সাওয়াব পেতে হলে রয়েছে একটি শর্ত। বছরজুড়ে এ সাওয়াব পেতে হলে অবশ্যই আগে রমজানের রোজাগুলো রাখতে হবে।

হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখলো এবং শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখলো, এটি (শাওয়ালের ৬ রোজা) তার জন্য সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ (মুসলিম)

৬ রোজা রাখার সময়: ঈদের মাস শাওয়ালেই ৬ রোজা রাখতে হয়। উত্তম সময় হল ঈদের পরের ৬ দিন। কারণ রমজান ও ঈদ পরবর্তী সময়ে রোজা পালনে রয়েছে নেক আমলের প্রতি ধাবিত হওয়ার প্রমাণ। ওলামায়ে কেরামের কিছু অংশ এ ৬ দিনের রোজাকে মোস্তাহাব বলেছেন।

তবে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক বলেছেন, প্রতি মাসের তিন দিন রোজা রাখার মতো শাওয়ালের ৬ দিন রোজা রাখাও উত্তম আমল।

শাওয়ালের রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখাই ফজিলতপূর্ণ। তবে লাগাতার না রেখে বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা যায়। শাওয়াল মাস চলে গেলে তা কাযা করা জরুরি নয়। যেহেতু তা কারও কাছে সুন্নত আবার কারও কাছে মোস্তাহাব।

তাই ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় হোক যথাসময় পার হয়ে গেলে তা কাজা করা আবশ্যক নয়। সুতরাং সম্ভব হলে ঈদের পরপরই এ রোজা একাধারে পালন করা। অথবা বিচ্ছিন্নভাবেও এ রোজা পালন করা যায়।

যারা রমজানের রোজা ছেড়েছেন, তাদের জন্য শাওয়ালের রোজা রাখা জরুরি নয়। সেক্ষেত্রে আগে রমজানের রোজার কাজা আদায় করে নিতে হবে। তারপর সম্ভব হলে শাওয়ালের রোজা আদায় করতে হবে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: