কুরবানির গোশত দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিক দেওয়া নিয়ে ইসলাম কী বলে

আর মাত্র ৫ দিন বাকি। এরপরই হজ্জ্বের আবহ নিয়ে মুসলিম বিশ্বে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি করা। তবে যারা কুরবানি দিবেন তাদের জন্য ইসলামে রয়েছে কিছু বিশেষ দিক-নির্দেশনা।
কুরবানির আগেই দিক-নির্দেশনাগুলো জেনে নেয়া জরুরি। যেমন কিভাবে পশু জবাই করা, কাকে দিয়ে জবাই করোনা, চাকু-ছুরি কিভাবে ব্যবহার হবে, খাওয়ানো হবে কী না, কুরবানির গোশত দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিক শোধের বিষয়াদি ইত্যাদি...
শুরুতেই বলে রাখা ভালো- ঈদের জামাতের পরপরই পশু কোরবানি করা যাবে। ঈদের পরের দুদিনও কুরবানি করা যাবে। তবে কোনোভাবেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে নয়।
নিজেই কুরবানির পশু জবাই করা উত্তম। না পারলে জবাইয়ের জন্য সঠিক বিশ্বাসের মুসলমান নির্বাচিত করুন এবং জবাইয়ের সময় স্বশরীরে উপস্থিত থাকুন।
জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত ছুরি বা চাকু ভালোভাবে ধার করে নিন। জবাইয়ের পূর্বে পশুকে ভালোভাবে দানা-পানি খেতে দিতে হবে। পশুকে কেবলার দিক মুখ করে শোয়াতে চেষ্টা করুন। পশু পড়ে যাওয়ার পর টানা-হেঁচড়া করবেন না। কেননা পশুকে কষ্ট দেওয়া উচিৎ না।
যিনি ছুরি চালাবেন তিনি ছুরি চালানোর সময়- ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’- বলবেন। তার সাথে সাথে অন্যরাও বলতে পারেন। তবে এটা বাধ্যবাধকতা নয়।
কুরবানির পশু জবাই করা এবং গোশত বানানোর জন্য কসাইর পারিশ্রমিক আগে থেকেই ঠিক করে নিন। মনে রাখবেন, কোনোভাবেই কুরবানির মাংস দিয়ে কসাইর পারিশ্রমিক পরিশোধ করা যাবে না। ইসলাম কখনোই এটা সমর্থন করে না। কসাইকে গোশত উপহার দিতে পারবেন কিন্তু পারিশ্রমিক হিসেবে মোটেও না।
কেননা কুরবানির গোশতের দাবির নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কুরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন, এক ভাগ গরিব-মিসকিন এবং এক ভাগ নিজের পরিবার-পরিজনদের জন্য রাখুন। তবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কুরবানির গোশত উপহার দেওয়া যায়।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: