• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আজ সরস্বতী পূজা, ভক্তদের মানবীয় চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে ধরাধামে আবির্ভূত দেবী

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ০৯:৫৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আজ সরস্বতী পূজা, ভক্তদের মানবীয় চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে ধরাধামে আবির্ভূত দেবী

ফাইল ছবি

হিন্দু ধর্মের রীতি অনুসারে, সরস্বতী বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী জগতে আসেন। আর বিদ্যা, বাণী ও সুর পাওয়ার আশায় সরস্বতীর পূজায় নিবেদিত হন পূজারীরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি)। সনাতন  ভক্তদের মানবীয় চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে প্রতিবছর ধরাধামে আবির্ভূত হন জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর।

দেবী সরস্বতীর আরাধনায় ঢাক-ঢোল-কাঁসর-শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ। পূজা উপলক্ষে বরাবরের মতো বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির।

এদিন সকাল পৌনে ৯টায় পূজার্চনা এবং ১০টায় অঞ্জলি প্রদান শুরু হবে। এ ছাড়া সন্ধ্যা আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছেদেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে।পাশাপাশি সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সনাতন সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় বিভিন্ন এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন হলেও সরস্বতী পূজার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠ।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। তিনি দেবী সরস্বতীর পূজার্চনা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।

শাস্ত্র মতে, প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্রা কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। শ্বেতশুভ্র বসনা সরস্বতী দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা থাকে। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। তাকে ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আরাধনা করেন।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: