৫ নবজাতকের আরও একজনের মৃত্যু, এনআইসিইউতে ৩ শিশু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। ভূমিষ্ঠ হওয়া পাঁচ নবজাতকের মধ্যে এক নবজাতকের বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে মৃত্যু হয়। রাত ১২দিকে এনআইসিইউতে মারা যায় আরও এক নবজাতক। এ নিয়ে পাঁচ নবজাতকের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ওই নবজাতকের বাবা আমির উদ্দিন মামুন বলেন, জন্মের সময় আমার এক মেয়ে মারা যায়। রাতে আমার আরো এক মেয়ে মারা গেছে। তার মরদেহ নরসিংদীর গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি একজন সিএনজিচালক, তাদের এই চিকিৎসার ব্যয় আমি বহন করতে পারছি না। আমি খুব সমস্যায় আছি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন এক নারী। নবজাতকদের মধ্যে এক ছেলে ও ৪ মেয়ে। তবে জন্মের সময় এক নবজাতক মারা যায়। পরে ওই চার নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। এরপর চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তাদের তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবারই শ্বাসকষ্ট আছে। ওজন কম হওয়ায় ঝুঁকি বেশি। এর মধ্যে আরো এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
গাইনী ওয়ার্ডের ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. মাশরিমা মোর্শেদ মিশি জানান, ওই নারী সকালে গাইনী ওয়ার্ডের ৬নম্বর ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা আফরোজ শিলা মেডামের তত্বাবধানে ভর্তি হয়।
তিনি আরো জানান, ওই নারী বাচ্চার হাত বের হওয়া অবস্থায় নরসিংদি থেকে আজক সকালেই গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। পরে নরমাল অবস্থায় একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকদের ওজন খুবই কম ছিল। দ্রুত তাদের হাসপাতালের এনআইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন এক মেয়ে নবজাতক মারা যায়। বাকি চারজনের অবস্থাও ক্রিটিক্যাল। তবে মায়ের অবস্থা ভালো আছে।
নবজাতকদের মা গৃহিণী মনসুরা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদি জেলার শিবপুর উপজেলার বান্ধারিয়া গ্রামে। আড়াই বছর আগে সিএনজি চ্লক মামুনের সাথে তার বিয়ে হয়।
মানসুরা জানান, এটি তাদের প্রথম বাচ্চা। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। গতকাল নিয়মিত চেকআপের জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে তাদের বলা হয়, তার গর্ভে ৫টি নবজাতক রয়েছে। তাদের ঢাকায় এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন। সেজন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকায় আসার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে রাখেন। ভোরে মনসুরার প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
বিভি/এসএইচ/এজেড
মন্তব্য করুন: