• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মোটরসাইকেলের গতিসীমা নিয়ে একই কথা ডিএমপি কমিশনারের

প্রকাশিত: ১৯:২০, ১৪ মে ২০২৪

ফন্ট সাইজ
মোটরসাইকেলের গতিসীমা নিয়ে একই কথা ডিএমপি কমিশনারের

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঢাকার সড়কে একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। রাজধানীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, যাত্রীবাহী গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, যাত্রীবাহী গাড়িও যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

তিনি বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না বাস। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরে মহাখালী টার্মিনালে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতিদিন ১৮০০ গাড়ি চলাচল করে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেগুলো বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।

হাবিবুর রহমান বলেন, মহাখালী বাস মালিক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে, সেগুলো বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: