ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি
এবার ডিএসসিসি কর্মচারীদের একাত্মতা: দাবি না মানলে নাগরিক সেবা বন্ধের হমকি

আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ডিএসসিসির কর্মচারীরা।
আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ায় টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে ঢাকাবাসী। এই আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মচারীরাও।
রবিবার (১৮ মে) সকাল থেকে নগর ভবনের সামনে আয়োজিত ঢাকাবাসীর অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন তারা। নগর ভবনের ভেতরেই মুল ফটকের সামনে বসে তারাও অবস্থান কর্মসুচি পালন করে। এ কর্মসুচিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় কয়েকশ কর্মচারী অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা বলেন, ইশরাক জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে দ্রুত মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। তার বিষয়টি কতোদিন এভাবে আটকে রাখবে? সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কেন তাকে এখনও শপথ গ্রহণ করানো হচ্ছে না? শপথ যতদিন পড়ানো হবে না, ততোদিন আমরাও ঢাকাবাসীর সঙ্গে রাজপথ আছি। যদি এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা হয়, আমরা প্রত্যেক আঞ্চলিক অফিস অফিসে বসে পড়বো। সব ধরনের নাগরিক সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন তারা।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসনেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
পরদিন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ বার বার মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিলেও নির্বাচন কমিশনকে কোনো জবাব দেয়নি তারা। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় থেকে আদালতের বেঁধে দেওয়ার সময়সীমার শেষ দিনের শেষ মুহূর্তে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৫ মে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে কি-না বা অন্য কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবে কি-না, দ্রুত সময়ের মধ্যে তা অবগত করার অনুরোধ জানায় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না বলে ১৩ মে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানায় নির্বাচন কমিশন। তারপর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো শপথ আয়োজনের কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। উল্টো মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্ররোচনায় ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়াতে উচ্চ আদালতে রিট করানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এদিকে, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার (১৯ মে) ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকাবাসীর তরফে।
বিভি/এসএম/এজেড
মন্তব্য করুন: