ড. ইউনূস অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেনাপ্রধান দেশের স্তম্ভ: হেফাজত

ছবি: হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের সেনাপ্রধান দেশের স্তম্ভ। আপনারা বক্তিগত মান অভিমানের কারণে মানুষের স্বপ্ন ফিকে হতে দেবেন না।’ শুক্রবার (২৩ মে) বাদ জুমা বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময়ে ক্ষমতা নিয়ে মারামারি হানাহানি করা সমীচীন হবে না উল্লেখ করে তিনি সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, এভাবে টাইম ফ্রেম বেঁধে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। মামুনুল হক বলেন, একের পর এক দাবি আদায়ের সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে এই দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব দল ও সংগঠনের প্রতি ঐক্যের ডাক দেন। সেইসাথে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধান থেকে বিতর্কিত বহুত্ববাদ প্রত্যাহার, সংস্কার ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন, নারী কমিশন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোন করিডোর মেনে নিবে না। শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া কোন কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, হেফাজতের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই সরকার। তাহলে হেফাজতের নেতা কর্মীদের মামলা কেন উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে না? তারা আরও বলেন, যারা খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা জালাল আহমদ, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি শরিফ উল্লাহ, মুফতি সালাহ উদ্দিন, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, ড. শোয়াইব আহমদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মুফতি মোস্তাকীম বিল্লাহ হামিদী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি আব্দুল মালেক।
সমাবেশ শেষে হেফাজত নেতারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকে শেষ হয়।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: