• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক পরিবার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক পরিবার

টাঙ্গাইলের যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে প্রতি বছর বর্ষা এলেই শুরু হয় ভাঙ্গন। বর্ষার শুরুতে সদর উপজেলার যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক পরিবার। প্রতি বর্ষার দেড়-দুই মাস তারা ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটান। পানি বাড়তে থাকার চেয়ে কমার সময় ভাঙনের তীব্রতা বেশি থাকে। 

এবছর প্রথম দফায় পানি বাড়লেও গত এক সপ্তাহে প্রায় আড়াই ফুট কমেছে। একই সাথে যমুনার ভাঙনও বেড়েছে। এ কারণে অনেকেই আগে থেকে যমুনা পাড়ের বাড়িঘর-অন্যত্র সরিয়ে রাখছেন। কিন্তু যাদের অন্যত্র জায়গা-জমি নেই তারা সরাতে পারেননি।

সম্প্রতি চরপৌলী এলাকায় জিও ব্যাগসহ কয়েকটি দোকান নদীগর্ভে চলে যায়। কাকুয়া ইউনিয়নে ঝাউগাছা থেকে ওমরপুর দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গন আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি ঘর সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী, দুর্গাপুর ও সল্লা ইউনিয়ন এবং ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়ন রয়েছে ঝুকির মুখে। 

গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আপদকালীন জরুরী অস্থায়ী তীর প্রতিরক্ষামুলক কাজের অংশ হিসেবে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর বাম তীরে ৯৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫১০ মিটার এলাকাজুড়ে জিও-টিউব ও জিও-ব্যাগ ডাম্পিং এবং প্লেসিং কাজ করা হচ্ছে। এই কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জিওব্যাগ ফেলার প্রায় ৩০০ মিটার দূর থেকে বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু তোলার কারনে এসব জমি হুমকির মুখে রয়েছে। 

আব্বাস আলী নামে একজন বলেন, এই পার বাঁধ দিতাছে উপার ভাঙ্গবে এই বাঁধ দিয়ে কোন লাভ নাই। কারণ ডেজার দিয়ে মাটি কাটলে সেই বাঁধ টিকবে না। 

অমরপুর এলাকার রফিক নামে একজন বলেন,  এতো টাকা ব্যয়ে বাঁধ দিচ্ছে কিন্তু মাটি সেই নদী থেকেই নিচ্ছে তাতে লাভ কী?  যদি চর কেটে আনতো তাও হতো কিন্তু নদী পাড় থেকেই মাটি আনতাছে তাও ডেজার দিয়ে। আমাদের বিপদ কোনদিন মুছবে না।

এ দিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান ঠিকাদারের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন সামান্য বালী দূর থেকে আনা হচ্ছে। তাতে কোন সমস্যা হবে না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদিক এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ঠিকাদার রনি বলেন, দূর থেকে বালি আনা হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন তারা মিথ্যা বলছেন। আমরা সঠিক নিয়মেই কাজ করছি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2