পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠিতে লেখা- ‘হাদি হত্যার প্রকাশ্যে বিচার চাই’
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশ। সেই প্রতিবাদের অংশ হয়ে গেল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সও। প্রায় চার মাস পর মোট ১৩টি দানবাক্সে মিলেছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। সাথে ছিল হাদি হত্যার বিচার চেয়ে চিঠিও। সেখানে লেখা- হাদি হত্যার প্রকাশ্যে বিচার চাই।
৩ মাস ২৭ দিন পর শনিবার সকাল সাতটায় খোলা হয় পাগলা মসজিদের ১০টি লোহার দানবাক্স ও ৩টি ট্রাংক। সেখানে মেলে ৩৫ বস্তা টাকা-পয়সা। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে ৫০০ জন মিলে অর্থ গণনার কাজ সম্পন্ন করেন। পরে রাত ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত গণমাধ্যমকে প্রাপ্ত অর্থের তথ্য দেন।
ঐহিত্যবাহী এই মসজিদের দানবাক্সে দান করতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। কেউ দান করার নিয়তে, কেউ মনের ইচ্ছা পূরণের আশায় দানবাক্সে টাকা-পয়সাসহ অলংকার ও গবাদী-পশুও দেন।
বিপুল পরিমাণ এই টাকা গণনায় অংশ নেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদুল আহমেদ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ ৩৬০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন শিক্ষক ও স্টাফ, ২০ জন সেনাসদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন, ৫ জন আনসার সদস্য, ১০০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: