সাংবাদিকের কলম মর্টার শেলের চেয়েও শক্তিশালী: রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি বলেছেন, সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে ঘুনেধরা সমাজ পরিবর্তন হয়। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকের কলম মর্টার শেলের চেয়েও শক্তিশালী।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) নরসিংদীর রায়পুরা প্রেস ক্লাবের ৪০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, জহুর হোসেন চৌধুরী, এবিএম মুসা, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, কেজি মোস্তফা, ও তোয়াব খানসহ দেশ বরেণ্য সাংবাদিকদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এছাড়াও দৈনিক কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বরেণ্য সাংবাদিকদের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
রায়পুরা উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাভিশনের প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাই সিদ্দিক। অনুষ্ঠানের আগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।
রায়পুরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মোঃ মোস্তফা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন, রায়পুরা পৌরসভার মেয়র মো. জামাল মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল পারভেজ, সহকারী কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ফজলুল করিম ফারুক, অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোসলেহ উদ্দীন বাচ্চু ও সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম লিটনসহ আরও কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে রায়পুরা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল হাই সিদ্দিক।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করে আব্দুল হাই সিদ্দিক বলেন, তৎকালীন সময় রাস্তাঘাট না থাকায় ২৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উপজেলার খবর সংগ্রহ করা ছিল খুবই দুরহ কাজ। এখন অনেক রাস্তাঘাট হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে অনুযায়ী সাংবাদিকদের জীবন মানের তেমন কোন উন্নতি হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বেশি করে লিখে সমাজ সংস্কারে অনবদ্য ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: