সাত মাত্রার ভূমিকম্পে সিলেটের ৮০ শতাংশ বহুতল ভবন ধসে পড়ার শঙ্কা

সংগৃহীত ছবি
সিলেট থেকে দু'শ কিলোমিটার দূরে ডাউকি ফল্টের অবস্থান। সক্রিয় এ ফল্টের কারণে বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঐ এলাকা । সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলেই সিলেটের ৪২ হাজার বহুতল ভবনের ৮০ শতাংশই ধসে পড়বে, এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সহকারী আবহাওয়াবিদ, সিলেট শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, টেকটোনিক প্লেটের কিনারে অবস্থান করায় সিলেটে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বেশি। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রাক প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ তারা।
বিশেষজ্ঞরা এ অঞ্চলটিকে ভূমিকম্পের ডেঞ্জারজোন হিসেবে বারবার সতর্ক করা হলেও থামছে না অপরিকল্পিত নগরায়ন। তবে সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয় মানুষের মনে। বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ, জলাধার ভরাট, অপরিকল্পিত নগরায়ন এ আতঙ্ক আরো বাড়াচ্ছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে উপরের পানির ব্যবহার বাড়ানো, বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মানসহ নানা পরামর্শ দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম। ভূমিকম্প এমন একটি দুর্যোগ যার আগাম পূর্বাভাষ দেয়া যায় না, তাই ভূমিকম্প হলে যাতে জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে লক্ষ্যে নিয়মত প্রশিক্ষণ ও মহড়া চালানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ভূমিকম্প মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ, জলাধার সংরক্ষণ, উন্মুক্ত মাঠ, উদ্ধার কাজের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেট বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান।
সিলেট সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক ভবন তৈরিতে বিল্ডিং কোড নিশ্চিত করার বিষয়ে আরো কঠোর হবার কথা জানান। আর স্থানীয় সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সবাইকে দায়িত্বশীল হবার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন: