• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দশম লিগ কাপ জিতে লিভারপুলের রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ০৯:১৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ফন্ট সাইজ
দশম লিগ কাপ জিতে লিভারপুলের রেকর্ড

ইংলিশ লিগ কাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে চেলসিকে হারিয়ে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে রেকর্ড দশমবার শিরোপা জিতল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। 

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগ কাপের শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। ১১৮ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোলটি করেন অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক।

ইএফএল কাপের ইতিহাসে এটি লিভারপুলের দশম শিরোপা। এই প্রতিযোগিতায় তারাই সফলতম দল। মূল স্কোয়াডের ৯জন যখন ইনজুরিতে, তখন অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা তরুণরাই ছিলেন লিভারপুলের ভরসা। যদিও ম্যাচটা তারা জিতেছে অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইকের গোলে। অলরেডদের অধিনায়ক যেন সামনে থেকেই দিলেন জয়ের নেতৃত্ব। 

ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নেই সালাহ-সবোস্লাই-নুনিয়েজ কিংবা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের মত তারকারা। আক্রমণভাগে লুইস দিয়াজের সঙ্গী ছিলেন কোডি গাকপো এবং হার্ভি এলিয়ট। দুজনের কেউই নিয়মিত একাদশের নন। তবে বেঞ্চ থেকে এসে নিয়মিত খেলেছেন। 

ছন্নছাড়া ছিল মাঝমাঠ। ওয়াতারু এন্ডো এবং অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের সঙ্গী হলেন রায়ান গ্রাভেনবাচ। তবে এই ডাচ তারকাও ২৪ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়লেন ইনজুরিতে। পূর্ণশক্তির চেলসি এই সুযোগেই চেপে বসে লিভারপুলের ওপর। প্রথমার্ধে একবার বল জালেও জড়ায় তারা। তবে সেটা ধরা হয়নি অফসাইডের কারণে। 

বিপরীতে লিভারপুল যে সুযোগ পায়নি তা না। তবে তাদের আক্রমণের তুলনায় রক্ষণেই সময় দিতে হয়েছে বেশি। বিশেষত আইরিশ গোলরক্ষক কাওমিন ক্যালাহগার ছিলেন অনবদ্য। প্রথমার্ধে কোল পালমারের ক্লোজ রেঞ্জের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরেই অলরেড ফরোয়ার্ড গাকপোর শট ফিরে আসে বারপোস্ট থেকে।  

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোলের দেখা পায় লিভারপুল। অ্যান্ডি রবার্টসনের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন অধিনায়ক ভ্যান ডাইক। তবে, সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপর একাধিকবার বলার মত সুযোগ পেলেও তা আর গোলে পরিণত করা হয়নি লিভারপুলের। মাঝে চেলসির কনর গ্যালাগারও একবার হতাশ হয়েছেন গোলবারের কারণে। আর ক্যালাহার অতিমানবীয় সেইভ দিয়েছেন দুই দফায়। 

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোল না হলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। আর ম্যাচের সেরা সুযোগ এসেছিল এই সময়েই। ১১২ মিনিটে হার্ভি এলিয়টের হেড গোললাইন থেকে ফেরান চেলসির গোলরক্ষক। তবে মিনিট ছয়েক পর আর রক্ষা করা যায়নি। কস্তাস সিমিকাসের কর্ণারে মাথা ছুঁইয়ে লিভারপুলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন ভ্যান ডাইক। 

শেষ সময়ের ওই এক গোলেই নিশ্চিত হয়েছে লিভারপুলের লিগ কাপের শিরোপা। কুইনশ, ব্র্যাডলি, ক্লার্ক কিংবা ম্যাককনেলরা উপহার দিলেন চেলসির বিপক্ষে আরও একটি ফাইনালের জয়। 

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: