হারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শুভমান গিলের প্রথম সিরিজ জয়

দিল্লি টেস্টে জিতলো ভারত, শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন শুভমান গিল। চতুর্থ দিনের শেষ সেশনেই ভারতের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়েছিল। ভারতের জয় ঠেকাতে হলে পঞ্চম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অতিমানবীয় কিছু করতে হতো। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি। ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ভারত।
চতুর্থদিন জয়ের জন্য ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লোকেশ রাহুল ও সাই সুদর্শন যখন ১ উইকেটে ৬৩ রানে দিন শেষ করেন, তখন ফলাফল নিয়ে খুব একটা সন্দেহ ছিল না কারও। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে ভারতের করণীয় ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা সারার মতোই। হাতে ছিল ৯ উইকেট, প্রয়োজন মাত্র ৫৮ রান।
যদিও সে পথটা একেবারে মসৃণ হয়নি। ১১তম ওভারে রোস্টন চেজের বলে স্লিপে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন সুদর্শন, করেন ৩৯ রান। এরপর অধিনায়ক শুভমন গিল দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হন ১৩ রানে।
তবু ওপেনার লোকেশ রাহুল ছিলেন অটল। ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে তিনি দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন। এর মধ্য দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল ভারত। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এটাই গিলের প্রথম সিরিজ জয়।
আহমেদাবাদে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৪০ রানে হারলেও দিল্লি টেস্টে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ ওভারের বেশি ব্যাট করেছে রোস্টন চেজের দল। ফলো-অন হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছে ১১৮.৫ ওভার, যেখানে জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ সেঞ্চুরি করেন। তবে ভারতের প্রথম ইনিংসে যশস্বী জয়সোয়াল ও গিলের সেঞ্চুরিতে পাওয়া বিশাল লিডই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয়।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে ভারত। একক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা সর্বোচ্চ সিরিজ জয়ের তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে বসেছে তারা।
১৯৯৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১০টি টেস্ট সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ২০০২ থেকে এ পর্যন্ত টানা ১০টি সিরিজ একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিতে সেই রেকর্ডে ভাগ বসাল ভারতও।
এদিকে ক্রেগ ব্রাথওয়েটের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম পাঁচ টেস্টেই হারের মুখ দেখলেন রোস্টন চেজ।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের পর শুবমান গিল বলেন, ‘ভারতকে নেতৃত্ব দিতে পারা অনেক বড় সম্মানের। বলতে পারেন, এসবে এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। দলকে সামলানো, অধিনায়কত্ব করা, এসব বড় প্রাপ্তি। নেতৃত্বের ব্যাপারটি হলো, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি চেষ্টা করি, ম্যাচের অবস্থা বুঝে সেরা বিকল্পটি বেছে নিতে।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: