মোটামুটি রানের আশা দেখিয়ে দিয়ে গেলেন সাকিব-ইয়াসির

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়ানে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে করেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েছে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম-লিটন। দ্রুত ফিরে যান মুশফিকও (৯)।

তবে বিপদে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। কেননা চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলীকে নিয়ে দারুণ সামাল দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দুজনই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এনগিদির বলে লেগ বিফোরে পড়ে ফেরার সাকিব (৭৭) ফেরা আগে ইয়াসিরের সঙ্গে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাকিবের এটা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৭৩। 

সাকিব ফেরার কিছুক্ষণ পর সাজঘরে যান ইয়াসিরও। ৪৪ বলে ৫০ রানে রাবাদার হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইয়াসির।

এর আগে অ্যান্দিলে ফেহলুকায়োর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে যখন তামিম (৪১) ফিরে গেছেন তখন স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৯৫ রান। এর আগে ২০১৭ সালে মুশফিক ও ইমরুল কায়েস গড়েছিলেন ৯৩ রানের জুটি। যা এতোদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল। পারে সাকিব-ইয়াসির সেটাও ভাঙেন।

তামিম ফেরার পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি লিটন দাসও। কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লিটন। যাওয়ার আগে ৬৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এটা তার ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফটি। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৭৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ।  মাহমুদউল্লাহ ১২ ও আফিফ হোসেন ১৫ রানে ক্রিজে আছেন। 

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল নিয়েই নেমেছে। তবে ফিটনেস জটিলতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার দলে নেই ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তার জায়গায় খেলছেন কাইল ভারায়েনে।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধি.), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। 

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ : কাইলি ভ্যারানে, জানেমান মালান, টেম্বা বাভুমা (অধি.), এইডেন মার্করাম, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, এন্দিলে ফেহলুকায়ো, ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, মার্কো জানসেন ও লুঙ্গি এনগিদি।