• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

জাপান ফুটবল দলের যে ছবিগুলো ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা, দিচ্ছে শিক্ষা

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৫ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
জাপান ফুটবল দলের যে ছবিগুলো ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা, দিচ্ছে শিক্ষা

খেলাধুলার ময়দান মানেই যেন ছড়ানো-ছিটানো নোংরা পরিবেশ। বিশেষ করে খেলা শেষের দৃশ্যটা অবধারিত নোংরাই দেখা যায়। মাঠ, গ্যালারি কিংবা ড্রেসিংরুম- ম্যাচ শেষে যেখানেই তাকানো হয়, সেখানেই দেখা যায় খালি প্যাকেট, খালি বোতল, ছেড়া কাগজ, ছেড়া মোজা কিংবা জুতা কিংবা অন্যান্য সরঞ্জাম। কিন্তু ওই ম্যাচে যদি জাপানের কেউ যদি খেলে থাকে বা গ্যালারিতে থাকে তবে যেটা ঘটবে সেটা দেখলে অভিভূত হবে যেকোনো সাধারণ মানুষ।

চলমান কাতার বিশ্বকাপেও এমনটা চলছে। ম্যাচের আগে সবকিছু যেভাবে সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখা ছিল, ম্যাচ শেষেও ঠিক সেভাবেই সাজানো ছিল ড্রেসিংরুম। ছবি দেখে মনে হয়েছে, এখনই বুঝি এই ড্রেসিংরুমে নতুন একটি দল আসবে এবং নতুন ম্যাচ খেলতে নামবে।  কিন্তু না, এই দৃশ্যটি তৈরির আগে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে এশিয়া দেশ জাপান।

ফেরার আগে রুমটা এভাবেই সাজিয়ে রেখেছে। যেন ব্যবহারই হয়নি রুমটা।

এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে ২–১ গোলে জয়ের পর জাপানের ড্রেসিংরুমের একটি ছবি প্রকাশ হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবিটি দেখার পর যে কারও জাপান জাতীয় দলের ওপর শ্রদ্ধাটা বেড়ে যাওয়ার কথা। সেই সঙ্গে শিক্ষা নেওয়ার প্রসঙ্গটাও আসছে বারবার।

আল খলিফা স্টেডিয়ামে নিজেদের ড্রেসিংরুমে বাঁধভাঙা উদ্‌যাপন করেছে জাপান জাতীয় ফুটবল দল। এমন জয়ের পর আনন্দ–উল্লাস মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও দায়িত্বটা ভুলে যায়নি হাজিমে মোরিয়াসুর দল। ড্রেসিংরুমে এতটুকু ময়লা থাকলেও সেটি পরিষ্কার করে তারপর হোটেলে ফেরার বাস ধরেছে জাপান দল। 

ইতিহাসগড়া দল, এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী কোনো দলকে হারিয়েছে জাপান

জাপানের ঝকঝকে–তকতকে ড্রেসিংরুমের একটি ছবি প্রকাশ করেছে ফিফা। সেই ছবিতে দেখা গেছে, অনুশীলনে যেসব জার্সি পরেছেন জাপানের খেলোয়াড়েরা, সেসব জার্সি সুন্দর ভাঁজ করে রাখা হয়েছে ড্রেসিংরুমের ভেতরে রাখা টেবিলের পাশে। তার পাশেই অব্যবহৃত পানির বোতলের স্তুপ। সেটাও গুছিয়ে রাখা হয়েছে। আর টেবিলের ওপরে খাবারের সারি। 

জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচে বেঁচে যাওয়া খাবারগুলো টেবিলের ওপর সুন্দর সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তার পেছনেই কাগজ ভাঁজ করে নিজেদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে অরিগামি বানিয়ে রেখেছেন। এখানেই শেষ নয়। আরবি ও জাপানিজ ভাষায় ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিরকুটও টেবিলে রেখে গেছে জাপানের ফুটবলাররা। যা বিস্মিত করেছে নেটিজেনদের।

এই হলো আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার নমুনা। আহা!

শুধু জাপানের খেলোয়াড়েরাই নয়, সমর্থকেরাও পরিচ্ছনতায় বিশ্বাসী। বিশ্বকাপে কাতার–ইকুয়েডর উদ্ধোধনী ম্যাচ শেষে দুই দলের সমর্থকরা চলে গেলেও জাপানের কিছু ফুটবলপ্রেমী নিজ উদ্যোগে গ্যালারির ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কার করেন। আর কাল তো জাপানের সমর্থকেরা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। 

 

অবশ্য টুর্নামেন্টে জাপানের খেলোয়াড়দের এই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান নতুন না। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও নিজেদের ম্যাচ শেষে সব সময় ড্রেসিংরুম পরিষ্কার করে তারপর হোটেলমুখো হয়েছে জাপানের ফুটবল দলটি। যা প্রসংশিত হয়েছিল ওই সময়ও।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2