• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিপিএলে নতুন ইতিহাস, রেকর্ডবুক এলোমেলো

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বিপিএলে নতুন ইতিহাস, রেকর্ডবুক এলোমেলো

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে সিলেট পর্বের সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু সমাপ্তির আগে চার-ছক্কার এক বিশাল ঝড় বয়ে গেছে নৈসর্গিক সিলেটে। রান পাগাড়ের ইনিংসে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে বিপিএলে। খুলনার ছুঁড়ে দেওয়া ২১০ রান টপকে গেছে কুমিল্লা। যা বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে তামিম ও হোপের তাণ্ডবে দুই উইকেটে ২১০ রান সংগ্রহ করেছিল খুলনা। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন রিজওয়ান ও চার্লস। এই দুই ব্যাটারের ঝড়ে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় কুমিল্লা। তখনও হাতে বল বাকি ছিল ১০টি।

প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্স কেউই কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। তবে শেষ হাসি হেসেছে কুমিল্লাই। কুমিল্লা এই জয়ে নিজেদের পাশাপাশি ফরচুন বরিশালের প্লে অফ রাউন্ডও নিশ্চিত করেছে। 

এর মাধ্যমে রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের ১০ ম্যাচ বাকি থাকতেই প্লে অফের তিন দল চূড়ান্ত হয়ে গেলো। কুমিল্লা ও বরিশাল ছাড়া প্লে-অফ নিশ্চিত করা আরেক দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির দল সিলেট সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে।

বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটাই। আগের রেকর্ডটি ছিল খুলনা টাইগার্সের। ২০২০ সালে ঢাকা প্লাটুনের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে জিতেছিল তারা। যা এতদিন ছিল বিপিএলে ২০০-এর বেশি রান তাড়া করে একমাত্র জয়।

কুমিল্লার রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য আশানুরূপ ছিল না। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রিটায়ার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। ইমরুল কায়েস ফেরেন মাত্র ৫ রানে। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস মিলে শুরু করেন তাণ্ডব। দুজনের ৬৯ বলে ১২২ রানের জুটিতে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে কুমিল্লা। ৩৯ বলে ৭৩ রানে রিজওয়ান ফেরার পর ঝড় তুলে সেঞ্চুরি করেন চার্লস। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

এবারের বিপিএলের চতুর্থ শতক এটা। আজম খান, উসমান খান ও ইফতিখার আহমেদের পর চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে এবারের আসরে শতক হাঁকালেন চার্লস।

শেষ পর্যন্ত রানে অপরাজিত থাকেন চার্লস। অন্যপ্রান্তে  রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। খুলনার হয়ে শফিকুল ইসলাম, আমাদ বাট ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন। 

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। বল হাতে শুরুতেই সাফল্য পায় তার দল। মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন ১ রানে। তবে এরপর কুমিল্লার আনন্দ মিলিয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শুরুতে একটু সময় নিয়ে জমার পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন শাই হোপ ও তামিম ইকবাল। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করতে থাকেন তারা। 

প্রথমে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন হোপ। একটু পর ৪৫ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। তবে এরপরই যেন ব্যাটকে খাপছাড়া তলোয়াড় বানান তিনি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৯৫ রান করেন তামিম। শাই হোপ ৫৫ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৯১ রানে। কুমিল্লার হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও নাসিম শাহ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: