‘ছড়ানো এই জীবন’র রচয়িতা বিষ্ণু দে’র জন্মদিন

বিষ্ণু দে
বিষ্ণু দে একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি, লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তার স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘জ্ঞানপীঠ’ লাভ করেন। ‘ছড়ানো এই জীবন’ লেখাটিও তার।
বিষ্ণু দে ১৮ জুলাই ১৯০৯ সালে কলকাতার পটলডাঙার বিখ্যাত শ্যামাচরণ দে বিশ্বাসের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অবিনাশ চন্দ্র দে ছিলেন একজন অ্যাটর্নি। বিষ্ণু ১৯২৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর বঙ্গবাসী কলেজে আইএ পড়তে যান। ১৯৩২ সালে সাম্মানিক ইংরাজি বিষয়ে স্নাতক হন সেন্ট পল্কলেজ থেকে।
এরপর ১৯৩৪ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এম এ করেন। ১৯২৩ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে যে সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল কবি বিষ্ণু দে তার একজন দিশারী।
রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতায় তার অবদান বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে। এছাড়াও তিনি নিরুক্তা নামের একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন। তার কবিতার মূল উপজীব্য হলো- মানুষ, তার সংগ্রাম ও রাজনীতি, সেখানে সমকালীন জীবন, দেশ ও কালের রাজনীতি ও সমাজের প্রতিধ্বনি।
কবি হিসাবে বিষ্ণু দে আধুনিক কবিদের মধ্যে দুর্বোধ্যতম কবি। তার রচিত উল্লেখযোগ্য বই এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’, ‘ছড়ানো এই জীবন’ (আত্মজীবনী), ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ (১৯৩২), ‘চোরাবালি’ (১৯৩৮), ‘রুচি ও প্রগতি’ (১৯৪৬), ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘সাহিত্যের ভবিষ্যৎ’ (১৯৫২), ‘সন্দীপের চর’ (১৯৪৭), ‘তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ’ (১৯৫৮) ও ‘সেকাল থেকে একাল’ (১৯৮০) প্রভৃতি। বিখ্যাত এই কবি ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে প্রয়াত হন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: