দেশের বাজারে উঠেছে সাতক্ষীরার রসালো আম

আজ (সোমবার) থেকে দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠছে সাতক্ষীরার রসালো সুস্বাদু আম। প্রথম ধাপে বাজারে এসেছে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোলাপখাসসহ স্থানীয় জাতের আম। সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী এলাকার বিল্লাল হোসেনের বাগান থেকে আম পাড়ার মধ্য দিয়ে জেলার আম সংগ্রহের উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।
এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয়ন বিশ্বাস, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা প্লাবনী সরকারসহ জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (৫ মে) থেকে গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোলাপখাসসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ল্যাংড়া ও ৫ জুন আম্রপালি জাতের আম সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সকাল থেকেই পাইকাররা আম সংগ্রহ শুরু করেছেন। বাজারে চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আমের চাহিদা অনেক বেশী। চলতি বছর সাতক্ষীরায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে ১৩ হাজার ১০০ জন চাষি আম চাষ করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, সাতক্ষীরার আমই দেশের অন্য জায়গার তুলনায় সবচেয়ে আগে পাকে। সে কারণে এর চাহিদাও অনেক বেশি। এ জেলার আমের স্বাদও অতুলনীয়। এ বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার আম বিক্রি ও রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কোনোভাবেই যেন কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করে আম পাকানো না হয়, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: