মাদকাসক্ত সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা-মা

নিয়মিত মাদক সেবন করে পরিবারে অশান্তি এবং টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের মারধর করতেন স্বাধীন ইসলাম (২৬)। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাদকাসক্ত সন্তানকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছেন বাবা-মা। এ উদাহরণ তৈরি করেছেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের আব্দুস সালাম।
সোমবার (৫ মে) ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ১০০ টাকা জরিমানা করেন। একই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও ৪ মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করেন।
স্থানীয়রা জানান, মাদকাসক্ত স্বাধীনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। মাদক সেবনের টাকার জন্য সে প্রতিনিয়ত পরিবারের লোকজনের ওপর অত্যাচার করে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার দুপুরে বাবা-মা তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। পরে তার বাবা-মায়ের অভিযোগসহ তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
মাদকসেবী স্বাধীন ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, অনেক ভাবে চেষ্টা করে, নিষেধ করেও আমার ছেলেকে মাদক সেবন থেকে ফেরাতে পারিনি। বরং দিন দিন তার অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে প্রশাসনের সাহায্য নিতে হয়েছে।
এছাড়াও একই দিনে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলার পারকোল গ্রামের হাফিজুর খানের ছেলে রিয়াজুল খানকে এক বছর, কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের মকবুল মন্ডল এর ছেলে আব্দুল হালিম ও আব্দুল বারেককে এক মাস করে এবং হারোয়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মনজুর হোসেন কে সাতদিনের কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দুপুরেই পুলিশ স্বাধীনসহ কারাদণ্ড প্রাপ্ত মোট পাঁচজনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। মাদক সেবন বন্ধে প্রথমে পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: