• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বন্ধুত্বের টানে ভোলা এসে বন্ধুর বোনকেই বিয়ে করলেন চীনা যুবক

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৮ মে ২০২৫

আপডেট: ২১:১০, ৮ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
বন্ধুত্বের টানে ভোলা এসে বন্ধুর বোনকেই বিয়ে করলেন চীনা যুবক

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে নাবিয়া আক্তারকে বিয়ে করলেন চীনা মুসলিম যুবক। এমন খবরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে চীনা এই যুবককে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। তার নাম ইরিছা চং।

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে চীনা এই মুসলিম যুবক ইরিছা চং এর সাথে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় নাবিয়ার বড় ভাই রনির। এরপর চীনা অ্যাপস ইউচ্যাটের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা হতো। একপর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল চীন থেকে দ্বীপ জেলা ভোলার চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামে বেড়াতে আসেন ২৫ বছর বয়সী চীনা এই যুবক। একমাসের মতো বন্ধু রনির বাড়িতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে বন্ধুর ছোট বোন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী নাবিয়া আক্তারকে পছন্দ করে ফেলেন এ যুবক, দেন বিয়ের প্রস্তাব।

প্রথমে মেয়েটির পরিবার বিয়েতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে চীনা এই যুবকের সঙ্গে বিয়ের সম্মতি প্রকাশ করেন নাবিয়ার পরিবার। এরপর গত ৫ মে রাতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে নাবিয়াকে বিয়ে করেন চীনা যুবক ইরিছা চং। 

ইরিছা চং চীনের লানজু শহরে তার জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মেছউধা। দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে ইরিছা দ্বিতীয়। তিনি লানজু শহরের একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন এবং নাবিয়া স্থানীয় একটি কলেজের দাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। নাবিয়া এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।

নাবিয়ার ভাই রনি জানান, প্রথমে টিকটক পরে ইউচ্যাটের মাধ্যমে চীনা এই যুবকের সঙ্গে কথা হয় তার। এরপর তিনি বাংলাদেশে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে গত ১১ এপ্রিল তিনি চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন। এক মাসের মতো তাদের বাড়িতে থাকেন। একপর্যায়ে তার ছোট বোন নাবিয়াকে তিনি পছন্দ করে ফেলেন। এরপর তিনি জানান, নাবিয়াকে বিয়ে করা ছাড়া তিনি চীনে ফিরবেন না।

নাবিয়ার বাবা ইলিয়াস হাওলাদার জানান, প্রথমে তারা কেউই এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। পরবর্তীতে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে তারা নাবিয়াকে ইরিছার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। এতে সবাই খুশি। জামাই তাদের পছন্দ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইরিছা নিয়মিত নামাজ পড়েন এবং তিনি মুসলিম। তাই বিদেশি এই যুবককে জামাই হিসেবে পেয়ে তারা গর্বিত।
বাংলাদেশি মেয়েকে বিয়ে করতে পেরে নিজেকেও সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন ইরিছা চং। তিনি বলেন, নাবিয়া এবং তার ভাইয়ের পাসপোর্টের কাগজপত্র ঠিকঠাক করা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি তাদেরকে নিয়ে চীনের উদ্দেশে রওনা হবেন। 

নাবিয়া আক্তার জানান, প্রথমে এই বিয়েতে কেউ রাজি না হলেও পরবর্তীতে সবার সম্মতিক্রমে তিনি এই বিয়েতে রাজি হন। খুব দ্রুত চীনে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনি পাসপোর্টসহ আনুষাঙ্গিক সকল কাগজপত্র ঠিক করছেন।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: