• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

দক্ষিণাঞ্চলের ১১ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২৫ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
দক্ষিণাঞ্চলের ১১ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কীর্তনখোলাসহ ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বেড়েছে উদ্বেগ। উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠির বিষখালীতে ১৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীতে ৫২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানে ৮২ সেন্টিমিটার ও তজুমদ্দিনে ১৬৫ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে।

এ ছাড়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ২৯, আমতলীতে ১৮, বরগুনার পাথরঘাটায় ৪৫, পিরোজপুরের বলেশ্বরে ৩২ ও কচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এসব নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক এলাকা এখন পানির নিচে।

শুক্রবার বিকালে বরিশাল নগরীর সদর রোড, বটতলা, প্যারারা রোড, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, ধান গবেষণা রোড, বগুড়া রোড, বৈদ্যপাড়া, রূপাতলী হাউজিং, আমানতগঞ্জ, কাউনিয়া ও ভাটিখানাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। এসব এলাকার বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পলাশপুর, মোহাম্মদপুর ও রসুলপুরসহ নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দারা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। অনেক পরিবার ঘর থেকে বের হতে পারছে না, এমনকি রান্না ও দৈনন্দিন কাজও বন্ধ হয়ে পড়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ১০ কিলোমিটার। এই অবস্থা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভোলা-ইলিশা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল চালু আছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রিয়াদ হোসেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এ মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও অস্বাভাবিক জোয়ার ও টানা বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ভাটার সময় পানি কিছুটা নামলেও আবার জোয়ার এলে তা ফের বিপদজনক হতে পারে।

এদিকে, বরিশালের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের নিয়ে তারা চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: