সাতক্ষীরার শ্যামনগর
বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে দু-পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-৩

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে শ্যামনগর পৌরসদরের নকিপুর এইচসি পাইলট বিদ্যালয় চত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, জেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শ্যামনগর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ৮নং ওয়ার্ডের জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল অহেদ ও আশেক এলাহী মুন্নার কর্মী সমর্থকরা বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীসহ তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করে।
এ সময় লিয়াকত আলীকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আনোয়ার-উস শাদাত মিঠু ও বাবুসহ তিন জন হামলার শিকার হয়। এসময় প্লাস্টিকের পাইপের আঘাতে মাথা ফেটে মিঠু রাস্তার মধ্যে পড়ে গেলে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, মিঠুর মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী বলেন, জাল ডেলিগেট করে ভোট গ্রহণের প্রতিবাদ করায় এমন হামলা হয়েছে। এজন্য তিনি কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেন। উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশেক ইলাহী মুন্নার কর্মী সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে একটি পক্ষ বিরোধের চেষ্টা করেছিল। আমরা ৮নং ওয়ার্ডের ভোট বন্ধ রেখেছি অন্যান্য ওয়ার্ডের ভোট গণনা চলছে। এঘটনায় ২ থেকে ৩ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: