• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুলেই ২০ জন যমজ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২৫ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৬:০৬, ২৫ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুলেই ২০ জন যমজ শিক্ষার্থী

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর পাবলিক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। শতবর্ষী এই বিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়ছে ২০ জন যমজ শিক্ষার্থী। স্কুলটির যমজ ভাই-বোনদের সবাই দেখতে প্রায় একই রকম। স্থানীয়দের কাছে স্কুলটি এখন ‘যমজদের বিদ্যালয়’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চঞ্চল রাহা ও রাহুল রাহা নামে যমজ দুই ভাই পাঁচ বছর আগে বিদ্যালয়ে প্রথম ভর্তি হয়। একই বছরে আবিদ ও অমিত নামে আরও দুজন ভর্তি হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই বেড়েছে যমজ শিক্ষার্থীর সংখ্যা। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোজিনা পারভীন বলেন, স্কুলে ওরা যেন হরিহর আত্মা। একই সঙ্গে খেলাধুলা, একই পোশাক পরা ওদের খুব পছন্দ। এমনকি মেধার দিক দিয়েও কেউ কোনো অংশে কম নয়। পরীক্ষার খাতায়ও প্রায় একই নম্বর পায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে দুই জোড়া, সপ্তম শ্রেণিতে তিন জোড়া, অষ্টম শ্রেণিতে এক জোড়া, নবম শ্রেণিতে দুই জোড়া এবং দশম শ্রেণিতে দুই জোড়া ভাই-বোন। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, যমজ শিক্ষার্থীরা খাওয়াদাওয়া, শোয়া, পড়াশোনা সবই একসঙ্গে করতে পছন্দ করে। প্রতি জোড়া হুবহু দেখতে একই রকম। বিশেষ করে সবাই যেহেতু স্কুলের পোশাক পরে আসে, তাই তাদের আলাদা করতেও ভীষণ বেগ পেতে হয়।

যমজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণির শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণির হাসি-খুশি ও একই শ্রেণির তাহবি-তাসমিম জানায়, অন্যদের তুলনায় তারা নিজেদের ভাগ্যবান বলে মনে করে। কেননা, যমজ হওয়ার কারণে সবার কাছে আলাদা গুরুত্ব পায়। এমনকি শিক্ষক, প্রতিবেশী, মা-বাবার কাছেও তারা খুব প্রিয়। বিষয়টি যেমন খুশির, তেমনি এটি উপভোগও করে তারা। তবে তাদের ইচ্ছা একসঙ্গে পড়াশোনা শেষ করে, চাকরি অবস্থায়ও একই অফিসে যেন কর্মরত থাকতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর জানান, যমজরা একজন যেন অন্যজনের প্রতিচ্ছবি। ক্লাসে শিক্ষকেরা প্রায়ই তাদের গুলিয়ে ফেলেন। দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হলে সহপাঠীদেরও বিভ্রান্ত করে দেয়। তবে এই ১০ জোড়া যমজ শিক্ষার্থী লেখাপড়ার ব্যাপারে দারুণ মনোযোগী। এমনকি তাদের মধ্যে ভীষণ প্রতিযোগিতা আছে কে কার থেকে ভালো করবে পড়াশোনায়। এই শিক্ষকের আশা, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: