• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: ১২:২৬, ১৯ মে ২০২৫

আপডেট: ১২:৫৭, ১৯ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর

অর্থ আত্মসাত মামলায় হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জামিন নামঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। 

সোমবার (১৯ মে) সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন এবং জেসমিনকে হাইকোর্টে জামিন চাইতে বলেন। 

এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ জুন এই মামলায় জেসমিন ইসলামকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বাতিল করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। দেওয়া হয় আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ। এরপর থেকে কারাগারেই আছেন জেসমিন ইসলাম। 

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৮৫ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

মামলা করার দিন দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে জেসমিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় গত ১০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন পান জেসমিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন । প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও আমদানি-রপ্তানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ওই সব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

জেসমিন ইসলাম ও তানভীর মাহমুদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন হল-মার্কের কর্মকর্তা মীর জাকারিয়া ও মো. জাহাঙ্গীর, সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. সাইফুল হাসান, এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আবদুল মতিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মেহেরুন্নেসা মেরী, জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আজমুল হক ও এস এম আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এজিএম আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া ও জেসমিন আখতার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, জিনিয়া জেসমীন ও মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং মোছা. জেসমিন খাতুন ।

সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ভুয়া আইবিপির (ইনল্যান্ড বিল পারসেজার) মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এর আগে আরও সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন।

হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১২ সালে ৩৮টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে ১১টি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন ও পরস্পর যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অপরাধে বাকি ৯টি মামলায় ওই বছরের ২৭ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মোট ৩৮টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৭টি মামলা করা হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফান্ডেড (স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায়) ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়। এসব মামলার সব কটিতেই জেসমিন ইসলাম আসামি।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2